সাতক্ষীরায় করোনার উপসর্গ নিয়ে ৯ জনের মৃত্যু

0

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি॥ সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার উপসর্গ নিয়ে আরও নয় জনের মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে জেলায় ১৬ জুলাই পর্যন্ত করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৪৫৮ জন। পাশাপাশি করোনায় মারা গেছেন ৮০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তিরা হলেন তালা উপজেলার খাজুরাহো গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে কামাল (৬২), দেবহাটার সখিপুর এলাকার মৃত প্রণব বিশ্বাসের ছেলে ভরত চন্দ্র বিশ্বাস (৭৪), আশাশুনির বড়দল এলাকার মৃত ইমান ঢালীর ছেলে আরশাদ (৭৮), তালার হরিহরনগর এলাকার মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে নজরুল ইসলাম (৭০), সাতক্ষীরা পৌরসভার কাটিয়া এলাকার মৃত সন্ন্যাসী চরণের ছেলে ভীম চরণ (৫৪), আশাশুনির বড়দল এলাকার মৃত হানিফের ছেলে সাত্তার (৭৫), তালার শিবপুর এলাকার মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আব্দুল গফুর (৬৫) ও যশোরের ঝিকরগাছা এলাকার মৃত হেকমত বিশ্বাসের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৫২)।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে গত ২৯ জুন থেকে ১৬ জুলাইয়ের মধ্যে সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন এসব ব্যক্তি। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
এদিকে সাতক্ষীরায় কমেছে করোনা সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় সামেক হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৭৫টি নমুনা পরীক্ষায় ৩৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ২৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল কর্মকর্তা ও জেলা করোনাবিষয়ক তথ্য কর্মকর্তা ডা. জয়ন্ত কুমার সরকার বলেন, এ পর্যন্ত সাতক্ষীরায় করোনা রোগীর সংখ্যা চার হাজার ৮২৫ জন। সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ৫৩৭ জন। বর্তমানে করোনা রোগী রয়েছেন এক হাজার ২০৮ জন। হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীর সংখ্যা ৩৪ জন। এদের মধ্যে সামেক হাসপাতালে ২৬ জন ও বেসরকারি হাসপাতালে আট জন ভর্তি আছেন। হোম আইসোলেশনে আছেন এক হাজার ১৭১ জন। উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩২৮ জন। এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি ২৭৪ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ৮১ জন। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৩৫৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৪ জন। করোনায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৮০ জন। উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৪৫৮ জন।