স্টাফ রিপোর্টার চৌগাছা ও মহেশপুর সংবাদদাতা॥ যশোরের চৌগাছা থেকে সোমবার উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত মরদেহের পরিচয় মিলেছে। মর্মান্তিক হত্যার শিকার হতভাগ্য কিশোর মাহামুদুল হাসান রাতুল (১৬) পাশ্ববর্তী ঝিনাইদাহ জেলার মহেশপুর উপজেলার পান্তাপাড়া ইউনিয়নের বাজিতপোতা গ্রামের মহি উদ্দিনের ছেলে। স্থানীয় শ্যামবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এ বছরের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল তার। তার পিতা ওই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান পরিচালনা পরিষদের সভাপতির দায়িত্বে আছেন।
নিহত রাতুলের পিতা মহি উদ্দিন জানান, গত ১১ জুলাই রবিবার সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে রাতুল কোটচাঁদপুর উপজেলার কাশিপুর গ্রামে ভগ্নিপতির বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। রাত আনুমানিক ৮ টার দিকে মোবাইল ফোনে তার সাথে আমার সর্বশেষ কথা হয়। রাত বাড়তে থাকে কিন্তু ছেলে বাড়িতে না ফেরায় তার ফোনে বারবার ফোন দেয়া হলেও তা বন্ধ পাই। পরের দিন অজ্ঞাত একটি ফোন নম্বর হতে আমার প্রতিবেশী একটি মেয়ের কাছে ফোন করে বলা হয়, ‘রাতুল যশোরে আমার (ফোনকারী) কাছে আছে’। রাতুলকে ফোনে চাইলে অপর প্রান্ত থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। সেই থেকে গতকাল পর্যন্ত ওই নম্বরটি বন্ধ ছিল। সোমবার রাতে এলাকার লোকজনের কাছ থেকে সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুকে চৌগাছায় অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার খবরে আমরা চৌগাছায় ছুটে আসি এবং উদ্ধার হওয়া লাশ আমার ছেলে রাতুলের বলে শনাক্ত করি। তবে কেন কী কারণে রাতুলকে এই নির্মম হত্যার শিকার হতে হল তা এখনও জানা যায়নি। হত্যাকাণ্ডের পিছে মেয়েঘটিত কোন বিষয় আছে না কি অন্য কিছু এ নিয়েও চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা।
চৌগাছা থানার ওসি (তদন্ত) গোলাম কিবরিয়া বলেন, এটি যে একটি হত্যাকাণ্ড তাতে কোন সন্দেহে নেই। হত্যা পেশাদার কোন খুনি করেনি বলেও প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে, আশা করছি দ্রুতই এর মোটিভ উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম সবুজ বলেন, নিহত রাতুলের বাবা মহিউদ্দিন বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
উল্লেখ্য, সোমবার বিকেলে চৌগাছার বেড়গোবিন্দপুর বাওড় সংলগ্ন শ্মশান ঘাট এলাকার একটি পাট ক্ষেত হতে মুখে স্কচটেপ পেচানো অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।