আধা কিলোমিটার রাস্তার জন্যে ৭ গ্রামের মানুষের ভোগান্তি

0

খাজুরা (যশোর) সংবাদদাতা॥ বছরের পর বছর গেলেও মাত্র আধা কিলোমিটারের একটি কাঁচা রাস্তা পাকাকরণ না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাত গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে। রাস্তার মাটি ধসে নিশ্চিহ্ন হতে চলেছে। কোনমতে তিন চাকার ভ্যানগাড়ি ও ইজিবাইক চলাচল করতে পারে। তবে চলতি বর্ষা মৌসুমে কাদাপানিতে রাস্তাটি চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এলাকাবাসীর দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, বাঘারপাড়া উপজেলার খাজুরা-বন্দবিলা রাস্তার দূরত্ব প্রায় ৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে মির্জাপুর কাজীপাড়া হতে বন্দবিলা অংশ পিচের। বাকি অংশটুকু ২০০৩ সালে ইউপি চেয়ারম্যান কাজী কামরুল ইসলাম ইটের সোলিং করেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পেরুলেও এই অংশ সংস্কার করা হয়নি। ফলে রাস্তার ইট উঠে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। তাই ধান্যপুড়া, মির্জাপুর, ভগবানপুর, কঠুরাকান্দি, বন্দবিলা, নিমটাসহ প্রায় সাত গ্রামের মানুষ বিকল্প হিসেবে মির্জাপুর ঈদগাহ সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। তবে রাস্তাটির মির্জাপুর খালপাড় হতে শওকতের মোড় অংশটুকু কাঁচা। চলতি বর্ষা মৌসুমে মাত্র আধা কিলোমিটার এই অংশে কাদাপানি একাকার হয়ে গেছে। যে কারণে বিকল্প রাস্তাটিও কয়েক হাজার মানুষের উপকারে আসছে না।
স্থানীয় কাজী রবিউল ইসলাম বলেন, লোকজনকে কাদাপানি মেখে যেতে হয় শহর-বাজারে। হঠাৎ কেউ গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে নিতে হিমশিম খেতে হয়। রোস্তম আলী নামে এক কৃষক বলেন, ইটের রাস্তায় অতিরিক্ত ভাড়া দিলে চালকরা যেতে রাজি হয়। বৃষ্টি সময় মাটির অংশের রাস্তায় কোন গাড়িই চলতে পারে না। এ সময় খুবই কষ্ট করে উৎপাদিত ফসল বাজারে তুলতে হয়। রং মিস্ত্রী ইসহাক আলী বলেন, ভোট এলেই জনপ্রতিনিধিরা রাস্তা পাকা করার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ভোটের পরে আর কেউ খোঁজ রাখেন না। ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেন জানান, ইউনিয়ন পরিষদে অতিরিক্ত বাজেট না থাকায় সম্পূর্ণ রাস্তাটি পাকা করা যায়নি। সম্প্রতি কাবিখা প্রকল্পের আওতায় রাস্তা মাটি দ্বারা সংস্কার করা হয়েছে। তবে বর্ষার পানিতে কর্দমাক্ত হয়ে চলাচল অনুপযোগী হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে বন্দবিলা ইউপি চেয়ারম্যান সবদুল হোসেন খানের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। সোমবার বিকেলে তাঁর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বাঘারপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবু সুফিয়ান বলেন, রাস্তাটির এই অংশের জন্য বরাদ্দ নেই। নতুন করে বরাদ্দ পেলে এটি দ্রুত পাকা করা হবে।