পানিতে ডুবে যুবদল নেতা আবুল কাশেমের শিশু সন্তানের মৃত্যু # অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও নার্গিস বেগমের শোক

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর জেলা যুবদলের সাবেক সহসম্পাদক আবুল কাশেম কালুর ছোট ছেলে শাহরিয়ার সিজান পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করেছে। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।
গতকাল রোববার বেলা ১২টা ৫০ মিনিটে শহরের রেলস্টেশন সংলগ্ন পুকুরের পানিতে ডুবে তার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। শাহরিয়ার জিসানের মৃত্যুতে চাঁচড়া রায়পাড়া এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। শাহরিয়ার জিসান শহরের রায়কৃষ্ণ আশ্রম মিশন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। স্বজনরা জানিয়েছেন, গতকাল বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে যায়। পরে অন্যরা গোসল করতে গিয়ে তার সন্ধান পেয়ে সাথে সাথে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে প্রশাসনের অনুমতিক্রমে বিনা ময়না তদন্তে তার মরদেহ নিয়ে আসা হয় চাঁচড়া রায়পাড়া বাসভবনে। সেখানে স্বজন ও এলাকাবাসীর আহজারিতে বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। সকলেই তাকে এক নজর দেখতে ভিড় জমান। ছুটে যান জেলা বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। ঢাকা থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত তার স্বজনদের খোঁজ খবর নেন ও সান্ত্বনা দেন। বাদএশা রেল স্টেশন মাদ্রাসা মাঠে নামাজে জানাজা শেষে তাকে চাঁচড়া রাজবাড়ি কবর স্থানে দাফন করা হয়। তার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম। বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, সন্তানহারা বাকরুদ্ধ পিতামাতাকে কোন ভাষায় সান্ত্বনা দেব সেটি আমাদের জানা নেই। যে বয়সে শিশু শাহরিয়ার জিসানকে পরিবারের সকল আনন্দে মাতিয়ে রাখার কথা, ওই বয়সে সে পিতামাতা স্বজন সহপাঠীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেল। সে শুধু চলেই গেল না, যাবার সময় আমাদের সকলের হৃদয়কে ক্ষত-বিক্ষত করে গেল। তারা মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করেন, তিনি যেন তাদের এই কলিজার টুকরা সন্তানের মৃত্যুর শোক সহ্য করার ক্ষমতা দেন। অনুরূপ শোক জানিয়েছেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন।