চৌগাছায় কপোতাক্ষ নদ থেকে মাদক ব্যবসায়ী উঠতি যুবকের লাশ উদ্ধার

0

স্টাফ রিপোর্টার ও সংবাদদাতা,চৌগাছা (যশোর)॥ যশোরের চৌগাছায় কপোতাক্ষ নদ থেকে তরিকুল ইসলাম (১৭) নামে মাদক ব্যবসায়ে অভিযুক্ত এক উঠতি যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে পাশের উপজেলা ঝিকরগাছার শীবচন্দ্রপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। পরিবারের সদস্যরা তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন।শনিবার সকালে উপজেলার বড়কাবিলপুর গ্রামের কপোতাক্ষ নদের বেলেঘাট নামক স্থান থেকে চৌগাছা থানার পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।
চৌগাছা থানার ওসি (তদন্ত) গোলাম কিবরিয়া বলেন, স্থানীয়রা জানান তরিকুল ইসলাম একজন মাদক সেবনকারী ও মাদক পারাপারের কামলা (মজুর) হিসেবে কাজ করতো। কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। শনিবার সকালে স্থানীয়রা বড়কাবিলপুর গ্রামের বেলেঘাট এলাকায় কপোতাক্ষ নদে মরদেহ ভাসতে দেখে প্রথমে কাবিলপুর বিজিবি ক্যাম্পে খবর দেয়। চৌগাছা থানা পুলিশ ও বিজিবি যৌথভাবে লাশটি উদ্ধার করে কাবিলপুর বিজিবি ক্যাম্পে নেয়। পরে সেখান থেকে ময়তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি আরও জানান, তরিকুলের বিরুদ্ধে চৌগাছা ও ঝিকরগাছা থানায় বেশ কয়েকটি মাদক মামলা রয়েছে। সে এর আগে মাদকসহ ধরা পড়ে কারাভোগও করেছিল। তরিকুল ইসলামের মৃত্যুর ব্যাপারে তার পরিবারের কোন অভিযোগ নেই। চৌগাছা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।
মৃত তরিকুল ইসলামের বড় ভাই শফিকুল ইসলাম জানান, ছোট বেলায় মা মারা যাওয়ার পর থেকে সে চাচা আব্দুল বারিকের বাড়িতে থেকে মানুষ হয়। কিন্তু বড় হওয়ার সাথে সাথে সে পরিবারের অবাধ্য হয়ে পড়ে। স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সখ্য গড়ে ওঠে। তারা তাকে দিয়ে ভারত থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ে আসাতো। বৃহস্পতিবার রাতে খাবার খেয়ে সে বাড়ি থেকে বের হয় আর ফিরে আসেনি। আজ (শনিবার) সকালে খবর আসে চৌগাছার কাবিলপুর গ্রামের পাশে কপোতাক্ষে তার লাশ পড়ে আছে। ধারনা করা হচ্ছে হত্যাকারীরা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে নদের পানিতে ফেলে রেখে গেছে। তার নামে ঝিকরগাছা থানায় মাদক মামলাও আছে। কিছু দিন আগে সে আটক হয় এবং যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে বের হয়ে পুনরায় মাদক আনা নেয়ার কাজে জড়িয়ে পড়ে।
কাবিলপুর বাজারের একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শ্রীচন্দ্রপুর ও কাবিলপুর দু’উপজেলাতে হলেও পাশাপাশি। নিহত তরিকুল ইসলাম প্রায় কাবিলপুর বাজারে আসত এবং এখানে যারা মাদক সেবন ও ব্যবসায় করত। প্রায় দিনই সে বিজিবি ও ভারতের বিএসএফ’র চোখ ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ে এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দিত। টাকা লেনদেন অথবা তার (তরিকুল) কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নিতেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।