করোনায় যশোরে মারা গেলেন আরও ১২ জন বাড়তি রোগী চিকিৎসায় হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষ

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনায় মৃত্যুর মিছিল যেনো থামছেনা যশোরে। প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃতের তালিকায় যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন নাম। গতকাল শুক্রবার ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনায় ৭ জন ও উপসর্গ নিয়ে ৫জন মারা গেছেন। এদিকে উপসর্গ নিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রোগী ভর্তির চাপ অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীর চাপ বেশি। ফলে মেঝেতেও চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মেঝে পরিপূর্ণ হয়ে গেলে বারান্দা বা বাইরেও রোগীদের অবস্থান করতে হচ্ছে। বাড়তি রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষকে।
শুক্রবার জেলা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য কর্মকর্তা ডা. মো. রেহেনেওয়াজ বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে ৩৮৮ জনে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এক হাজার ১৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় এ শনাক্তের হার ৩৪ শতাংশ। এর মধ্যে যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারে ৭৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৯৫ জন, জিন অ্যাক্সপার্ট পরীক্ষায় ৫ জনের মধ্যে ৪ ও র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ৩৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছেন।
যশোর জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানায়, হাসপাতালে করোনা ইউনিটের রেড জোনে ১৭০ জন ভর্তি রয়েছেন। ইয়েলো জোনে ভর্তি রয়েছেন ৭২ জন। রোগীদের অতিরিক্ত চাপে মেঝেতেও অসংখ্য রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আরিফ আহমেদ বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় এ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৭জন ও উপসর্গ নিয়ে ৫জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত রেড ও ইয়েলো জোনে মোট ২৪২ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। জেলায় এখন পর্যন্ত ১৪ হাজার ৯১০ জনের দেহে শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯ হাজার ৯৪ জন। মারা গেছেন ২০২ জন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, যশোর জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্সসহ সব স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে দিন-রাত কাজ করে চলেছেন। তবে ক্রমবর্ধমান রোগীর চাপ সামাল দেওয়ার জন্য হাসপাতালের রেড ও ইয়েলোজোনের বেডের সংখ্যা প্রাথমিক অবস্থার দ্বিগুণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে ১১ বেডের আইসিইউ ও ১৫ বেডের এইচডিইউর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই কর্মযজ্ঞে নিজস্ব জনবল ও আনুষঙ্গিক সুবিধাসহ সামিল হয়েছে সাজেদা ফাউন্ডেশন নামে একটি বেসরকারি সংস্থা। এরপরও রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।