করোনা মহামারীতে মানবিক দৃষ্টান্ত রাখছেন ইঞ্জিনিয়ার টিপু

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস বাংলাদেশেও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। দেশে মৃত্যুর সংখ্যা নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে। চলমান কঠোর লকডাউনে যখন অসহায় খেটে খাওয়া গরীব মানুষেরা চিকিৎসা ও খাদ্যের মারাত্মক অভাবে রয়েছেন ঠিক তখনই তাদের মাঝে বিভিন্ন সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন ইঞ্জিনিয়ার মোখলেছুর রহমান টিপু তরফদার।
তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০টি নতুন শয্যায় হাই ফ্লো অক্সিজেন সংযুক্তির মাধ্যমে সর্বমোট ২২ শয্যা এবং জীবননগর উপজেলা কমপ্লেক্সে ৬টি নতুন শয্যায় হাই ফ্লো অক্সিজেন সংযুক্তির মাধ্যমে সর্বমোট ২০ শয্যায় উন্নীতকরণ করেন ইঞ্জিনিয়ার মোখলেছুর রহমান টিপু তরফদার। বর্তমানে তার স্থাপনকৃত হাই ফ্লো অক্সিজেন প্লান্টের মাধ্যমে একযোগে ২২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতে পারছেন।
তার দেয়া ৯.৮ কিউবিক মিটার অক্সিজেনের যার প্রতিটি ৯ হাজার ৮০০ লিটার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন অক্সিজেন সিলিন্ডারে ১ লাখ ৯৬ হাজার লিটার অক্সিজেন মজুদ থাকবে। সম্প্রতি দামুড়হুদা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা: ফারহানা (আরএমও) এবং জীবননগর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: সেলিনা আক্তার প্রয়োজনীয় মেডিকেল সরঞ্জামাদি গ্রহণ করেন।
গত বছর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পরও সারাদেশে লকডাউন চলাকালীন এলাকার গরীব, অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষকে খাদ্য ও নগদ সহায়তা প্রদান করেন তিনি। পরে হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের মাঝে আপেল ফল, কমলালেবু ও মাস্ক বিতরণ করেন তিনি।
চলমান ভয়াবহতায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের সুচিকিৎসার জন্য সাধ্যমতো সহোযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানান ইঞ্জিনিয়ার মোখলেছুর রহমান টিপু তরফদার।
তিনি বলেন, গত বছর যখন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় এবং সারাদেশে সাধারণ ছুটি চলে তখন গরীব-অসহায় মানুষকে চাল, ডাল, আটা আলুসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী সহায়তা দিয়েছি। তখন এলাকায় করোনাভাইরাস রোগী না থাকলেও চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সহায়তা নিয়ে আমরা প্রস্তুত ছিলাম।
টিপু তরফদার আরো বলেন, এবার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট দেখা দেয়ায় সীমান্তবর্তী জেলা হিসেবে চুয়াডাঙ্গার অবস্থা খুবই নাজুক। গরীব-অসহায় করোনা রোগীরা যাতে অক্সিজেনের অভাবে মারা না যান সেজন্য উচ্চ ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন অক্সিজেন সিলিন্ডার সহায়তা দিয়েছি। করোনা রোগীদের মধ্যে যারা গরীব তাদের অনেককেই ১৪ দিন যাতে খাবার কষ্টে না থাকেন সেজন্য খাদ্যসামগ্রী দিয়ে সহায়তা করছি। এই মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এটা আসলে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে করছি। সকলেরই এই সংকটকালীন এগিয়ে আসা উচিত।