১৫ হাসপাতালে শয্যার অতিরিক্ত রোগী

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ হাসপাতালে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর চাপহাসপাতালে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর চাপ
করোনায় আবারও একদিনে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৬৫১ জন, দেশে যা মহামারিকালে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। বুধবার (৭ জুলাই) শনাক্ত হয়েছিলেন ১১ হাজার ১৬২ জন। মঙ্গলবার (৬ জুলাই) এ সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৫২৫ জন। অর্থাৎ টানা তিন দিন ধরে শনাক্ত ১১ হাজারের বেশি। এ অবস্থায় দেশের হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিনই রোগীর চাপ বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) দেশের অন্তত ১৫টি হাসপাতালে শয্যার তুলনায় অতিরিক্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ১৯৯ জন। বুধবার একদিনে রেকর্ড সংখ্যক ২০১ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। মৃত্যুর রেকর্ডের পর দিনই আজ শনাক্তের রেকর্ড হলো।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত হওয়া ১১ হাজার ৬৫১ জনকে নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে মোট শনাক্ত হয়েছেন ৯ লাখ ৮৯ হাজার ২১৯ জন। আর মারা যাওয়া ১৯৯ জনকে নিয়ে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার ৭৯২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, দেশে চলমান লকডাউন অমান্য করার ঘটনা ঘটছে। আর যদি এভাবে রোগী সংক্রমণ বাড়তে থাকে, তাহলে দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত এবং ভয়াল জুনকে ছাড়িয়ে যাবে চলতি জুলাই মাস।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের এ আশঙ্কার সত্যতা পাওয়া যায় দেশের হাসপাতালগুলোর বর্তমান অবস্থার দিকে তাকালে। স্বাস্থ্য অধিদফতর বৃহস্পতিবার আরও জানায়, দেশের ১৫টি হাসপাতালে সাধারণ শয্যায় নির্ধারিত রোগীর চেয়ে অতিরিক্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন।
অধিদফতরের তথ্যমতে, রাজধানী ঢাকার সরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে করোনা ডেডিকেটেড কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের ২৭৫ শয্যার বিপরীতে অতিরিক্ত রোগী ভর্তি আছেন ৪১ জন। বেসরকারি ল্যাবএইড হাসপাতালে ৪৪ শয্যার বিপরীতে অতিরিক্ত রোগী ভর্তি আছেন দুই জন।
এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২০৬ শয্যার বিপরীতে অতিরিক্ত ১০ জন, বেসরকারি চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ১০৯ শয্যার বিপরীতে ১৪ জন, আল মানাহিল নার্চার জেনারেল হাসপাতালের ৪৩ শয্যার বিপরীতে অতিরিক্ত তিন রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী জেলার ফেনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩০ শয্যার বিপরীতে দুই জন, কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১০৬ শয্যার বিপরীতে অতিরিক্ত ১৩ জন রোগী ভর্তি আছেন।ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২১০ শয্যার বিপরীতে অতিরিক্ত ভর্তি আছেন একজন।
রাজশাহী বিভাগের বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ২৪২ শয্যার বিপরীতে ৩১ জন, নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের ৭০ শয্যার বিপরীতে ১৪ জন, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৪৩৪ শয্যার বিপরীতে ৩১ জন অতিরিক্ত রোগী ভর্তি আছেন।খুলনা বিভাগের মধ্যে যশোর ২৫০ বেড জেনারেল হাসপাতালে ১২১ শয্যার বিপরীতে ১৮ জন, কুষ্টিয়া ২৫০ বেড জেনারেল হাসপাতালে ১৯০ শয্যার অতিরিক্ত ৭৯ জন, মাগুরা সদর হাসপাতালের ৫০ শয্যার বিপরীতে ১৫ জন অতিরিক্ত রোগী ভর্তি আছেন।
বরিশাল বিভাগে বরগুনা জেলা সদর হাসপাতালের ৫০ বেডের মধ্যে ৯ জন অতিরিক্ত, সিলেট বিভাগের সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ৮৪ বেডের বিপরীতে অতিরিক্ত রোগী ভর্তি আছেন একজন।