দূষণ কমেছে বাতাসের, সবচেয়ে ভালো ছিল জুন মাস

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ করোনাভাইরাসের কারণে মানুষ চলাচল, কাজের পরিমাণ কমে আসা এবং বৃষ্টির কারণে অনেক কমে এসেছে বায়ু দূষণের মাত্রা। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে শীর্ষ অবস্থানে থাকা ঢাকা এখন ৪৬ নাম্বারে নেমে এসেছে।চলতি বছরের জুন মাসে একদিনও বাতাসের মানমাত্রা ১৫০ একিউআই ক্রস করেনি। অর্থাৎ একদিনের জন্যও অস্বাস্থ্যকর হয়নি বাতাস। অন্য সময় অর্থাৎ গতবছর এবং তার আগের বছর জুন মাসের কয়েকদিন করে হলেও বাতাস অস্বাস্থ্যকর হয়েছিল।রোববার (৪ জুলাই) দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বের বায়ুমান যাচাই বিষয়ক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘এয়ার ভিজ্যুয়াল’-এর বায়ুমান সূচক (একিউআই) ইনডেক্সে ৪৬ নম্বরে এসেছে ঢাকা। সবার ওপরে আছে। পেরুর লিমা শহর, মানমাত্রা ১৭৯।
বায়ুদূষণ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, সারা বছরের মধ্যে জুন, জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর—এই চার মাস বছরের অন্য সময়ের চেয়ে বাতাসের মান অনেক ভাল থাকে। সারা বছরের মাত্র ১৫ ভাগ বায়ু দূষণ হয় এই চার মাসে। অন্যদিকে নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ, এই ৫ মাস সবচেয়ে বেশি দূষিত হয় বায়ু। এই ৫ মাসে সারা বছরের ৬৫ ভাগ দূষণ ঘটে। তিনি জানান, চলতি বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভালো বায়ু ছিল জুন মাসে। গত বছরের তুলনায় এর মানমাত্রা এবার বেশ ভাল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছয় ধরনের পদার্থ এবং গ্যাসের কারণে দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। এরমধ্যে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ধূলিকণা অর্থাৎ পিএম ২.৫ কে ঢাকায় দূষণের জন্য বেশি দায়ী করা হয়।
ক্ষতিকর ছয় ধরনের পদার্থের মধ্যে প্রথমেই আছে পিএম (পার্টিকুলেটেড ম্যাটার) ২.৫ অথবা ২ দশমিক ৫ মাইক্রো গ্রাম সাইজের ক্ষুদ্র কণা। এরপর পিএম-১০ হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। বাকি চারটির মধ্যে আছে সালফার ডাইঅক্সাইড, নাইট্রোজেন, কার্বন মনোক্সাইড এবং সিসা। এই ছয় পদার্থ ও গ্যাসের ভগ্নাংশ গড় করেই বায়ুর সূচক নির্ধারণ করা হয়। সেই সূচককে বলা হয় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স।
আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান বলেন, চলতি বছর বর্ষার শুরু থেকেই প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। এখনও ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী আরও ১৫ দিন এই ধরনের আবহাওয়াই থাকতে পারে। কোথাও ভারী আবার কোথাও মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে থাকবে। তিনি বলেন, প্রতিবছর এই সময় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টি হয়। এবার মৌসুমি বায়ু অনেক বেশি সক্রিয়। মে মাস থেকে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে এই বায়ুর প্রভাব।