মহাত্মা গান্ধীর চোখে সানগ্লাস

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী দেশের সবার কাছেই ‘বাপু’। তবে, এক জন তাকে ‘কাকু’ বলে ডাকেন। এক জন বলতে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের বিনয় রায় ওরফে লেদু। এখানেই শেষ নয়, গান্ধীর মূর্তিতে ভালবেসে সানগ্লাসও পরিয়ে দিয়েছেন সেই লেদু। সবটাই করেছেন মদের নেশার ঘোরে। তাতেই বিপত্তি। বর্ধমান শহরের শালবাগান এলাকায় মদ্যপ হিসাবে পরিচিত লেদুর আপাতত ঠাঁই হয়েছে হাজতে।
বর্ধমান পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে ওই শালবাগান এলাকা। সেখানে মহাত্মা গান্ধীর একটি মূর্তি রয়েছে। শনিবার এলাকার বাসিন্দারা দেখতে পান, কে বা কারা ওই মূর্তির চোখে থাকা গোল চশমাটি খুলে কালো সানগ্লাস পরিয়ে দিয়েছে। খোঁজখবর করে অবশেষে জানা যায়, লেদুই ‘অপরাধী’। ঠা ঠা রোদে দাঁড়িয়ে থাকা ওই মূর্তির চোখের চশমা খুলে মত্ত অবস্থায় লেদু পরিয়ে দিয়েছে সানগ্লাস। ব্যাপারটা ধরা পড়তেই লেদুর খোঁজ শুরু হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে মারধরও করেন। গান্ধীর মূর্তির পা ধরে চাওয়ানো হয় ক্ষমাও। এর পর তাকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে।
লেদুর এমন কীর্তিতে সমালোচনার ঝড় উঠেছে শালবাগানে। ওই এলাকারই বাসিন্দা তথা তৃণমূল নেতা অনন্ত পাল বলছেন, ‘মহাত্মা গান্ধীকে গোটা ভারত পুজা করে। সেখানে ওই ব্যক্তি গান্ধীমূর্তির চশমা ভেঙে দিয়ে চিৎকার করে বলে, মহাত্মা গান্ধী আজ অন্ধ হয়ে গেছে। এই কাজ চরম নিন্দার।’
নেশার ঘোরে জল যে এত দূর গড়িয়ে যাবে তা আন্দাজ করতে পারেননি লেদু ওরফে বিনয়। নেশা সামান্য কাটতেই আফসোসের সুর তার গলায়।
বিনয় বলেছেন, ‘এখানেই সব সময় বসি। তাকে (মহাত্মা গান্ধীকে) কাকু বলে ডাকি। এরকম হবে বুঝিনি। আমি ক্ষমা চেয়ে নিলাম।’