কুরবানির পশু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন চৌগাছার খামারিরা

0

মুকুরুল ইসলাম মিন্টু, চৌগাছা (যশোর) ॥ করোনাকলীন পরিস্থিতিতে কুরবানির পশু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন চৌগাছার খামারিরা। কুরবানির জন্য খামারিরা সারা বছর লালন পালন করে পশু বিক্রির জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। কিন্তু এ বছর লাখ লাখ টাকার পশু আদৌ তারা বিক্রি করতে পারবেন কিনা এ নিয়ে আছেন দুশ্চিন্তায়। ঈদে পশু বিক্রি করতে না পারলে তাদের অপূরণীয় ক্ষতি হবে বলে মনে করছেন খামারিরা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চৌগাছায় কুরবানির জন্য প্রস্তুত আছে ১ লাখ ৩ হাজার গরু, আর ছাগল আছে প্রায় ২ লাখ। সরেজমিন উপজেলার মশিউর নগর গ্রামে দেখা যায়, একটি খামারে ৩০টি গরু কুরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। খামারে ৮০ হাজার থেকে প্রায় ২ লাখ টাকা মূল্যের গরু আছে। এই খামারের মালিক তিন সহোদর আলাউদ্দিন ইসলাম, শরিফুল ইসলাম ও মনিরুল ইসলাম।
আলাউদ্দিন ইসলাম জানান, প্রায় তিন বছর হলো তারা গরুর খামার করেছেন। বছরের অন্য সময়ে কম বেশি গরু বিক্রি হলেও কুরবানিতে বেশি গরু বিক্রি করেন। কিন্তু এ বছর মহামারি করোনার ফলে কুরবানির প্রস্তুত করা গরু বিক্রি নিয়ে তিনি বেশ দুঃশ্চিন্তায় আছেন। কুরবানির অন্তত এক মাস আগে থেকেই ক্রেতারা এসে দরাদাম ঠিক করে গরু নিয়ে যেতেন। এ বছর কোনো ব্যাপারি আসেনি। একদিকে করোনার থাবা অন্যদিকে চলছে লকডাউন, যার কারণে পশুহাট রয়েছে বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে আদৌ পশু বিক্রি করা সম্ভব হবে কিনা সেই চিন্তায় আছেন তিনি।
খামারি আলাউদ্দিন আরও জানান, তার খামারে বর্তমানে ৩০টি গরু আছে। বাজার দর ভালো হলে ৩৮ থেকে ৪০ লাখ টাকায় গরু বিক্রি হবে। আর যদি কুরবানিতে গরু বিক্রি করা সম্ভব না হয় তাহলে প্রতিটি গরুতেই তাকে ব্যাপক লোকসান গুনতে হবে। খামারে প্রতি বছর শুধু গরুর খাদ্য বাবদ খরচ হয় প্রায় ১৮ লাখ টাকা। কুরবানীতে পশু বিক্রি করা সম্ভব না হলে খামার টিকিয়ে রাখায় কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে বলে মনে করছেন এই খামারি।