মুক্তিপণের দাবিতে ব্যবসায়ীকে অপহরণ যশোর উপশহরের কিলার গ্রুপের দু’সদস্যকে খুঁজছে পুলিশ

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরে মুক্তিপণের দাবিতে কীটনাশক ব্যবসায়ী দিপু কাজীকে অপহরণের ঘটনায় উপশহর এলাকার একটি কিলার গ্রুপ হিসেবে কুখ্যাত সন্ত্রাসী চক্রের কয়েকজনকে খুঁজছে ডিবি পুলিশ। অপহরণ ও মুক্তিপণের মূল পরিকল্পনাকারী সিনজেনটা থেকে চাকরিচ্যুৎ হাসানুর রহমানের সাথে কাজ করেছে ওই কিলার গ্রুপের সদস্যরা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম জানান, চৌগাছার কীটনাশক ব্যবসায়ী দিপু কাজীকে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণের ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী হাসানুর রহমানের সাথে ছিলো উপশহর এলাকার একটি কিলার গ্রুপের সদস্যরা। তাদের তদন্তে ইতোমধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি ছাড়াও কিলার গ্রুপের আরো দুজন সদস্যের নাম প্রকাশ পেয়েছে। যার একজনের নাম বাবু। তারা পলাতক এজাহারভুক্ত আসামি ছাড়াও তদন্তে সন্ধান পাওয়া ওই দুজনকে খুঁজছেন। অপরাধীরা আটক হলে আরো তথ্য উদঘাটন হবে বলে তারা আশা করছেন। তিনি বলেন, মোটা অঙ্কের টাকা আদায়ের জন্য ব্যবসায়ী দিপু কাজীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অপরাধীরা ৬টি নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছিলো। যা উদ্ধার করা হয়েছে।
ডিবি পুলিশ জানায়, ব্যবসায়ী দিপু কাজীর কাছ থেকে কেড়ে নেয়া তার বাজাজ পালসার মোটরসাইকেল (যশোর-ল-১১-৬৩৫৩) উদ্ধার করা হয়েছে। গত ২৯ জুন রাত আটটার দিকে স্থানীয় খায়রুল নামে একজন ইউপি মেম্বারের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে উপশহর ই-ব্লক এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তবে তার কাছ থেকে কেড়ে নেয়া ২৫ হাজার টাকা এখনো উদ্ধার করা যায়নি।
উল্লেখ্য, চৌগাছা উপজেলার উত্তর কয়েরপাড়া গ্রামের হাফিজুর রহমান কাজীর ছেলে কীটনাশক ব্যবসায়ী দিপু কাজীকে গত ২৭ জুন রাত আটটার দিকে পূর্ব পরিচিত হাসানুর রহমান কৌশলে যশোরে ডেকে এনে সঙ্গীদের সহায়তায় অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবি করে। পরদিন ২৮ জুন বিকেলে ডিবি পুলিশ তাকে বাহাদুরপুর থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। এ সময় অপহরণকারী চক্রের সদস্য হাসানুর রহমান ও ইমরান হোসেন ইমুকে আটক করা হয়। পরে এ ঘটনায় দিপু কাজীর ভাই মিঠু কাজী আটক দুজনসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরো ২-৩ জনকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। ২৯ জুন ডিবি পুলিশ আটক দুজনের ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে সোপর্দ করে। আগামী ৪ জুলাই রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন ধার্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মফিজুর রহমান।