আফ্রিদি আমাকে নেতৃত্ব থেকে সরাতে চেয়েছিল’, বিস্ফোরক ইউনিস খান

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ পাকিস্তান ক্রিকেটে এখন ইউনিস খান বিতর্ক চলছেই। সাতমাস ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পালন করার পর তার পদত্যাগ নিয়ে একের পর এক বিতর্কের জন্ম হচ্ছে। এরই মধ্যে সাবেক সতীর্থদের নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ নিয়ে হাজির হলেন ইউনিস খান। বিশেষ করে শহিদ আফ্রিদির বিরুদ্ধে।
ইউনিস খান দাবি করলেন, ২০০৯ সালে তাকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন শহিদ আফ্রিদি। তাকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে, আফ্রিদি নিজে অধিনায়ক হতে চেয়েছিলেন।
২০০৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময় থেকেই পাক শিবিরে তীব্র গুঞ্জন শুরু হয়েছিল, ইউনিস খানকে নাকি পছন্দ করছেন না পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। তার ব্যবহার, তার নেতৃত্ব দেওয়ার স্টাইল নাকি পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের একেবারেই পছন্দ ছিল না।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে ইউনিস খান দাবি করেছেন, আফ্রিদি এবং আরো দু’জন সিনিয়র খেলোয়াড়, যারা অধিনায়ক হতে চাইতেন, তারা ছাড়া বাকি কোনও খেলোয়াড়েরই ইউনিস খানকে নিয়ে অন্তত কোনও সমস্যা ছিল না।সাবেক পাক অধিনায়ক স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছেন, ‘যদি খেলোয়াড়দের আমাকে নিয়ে কোনও সমস্যা সত্যিই থাকত, তাহলে ওরা আমাকে বলতে পারত। ওরা দাবি করেছিল, আমাকে অধিনায়কের পদ থেকে সরাতে চায়নি।’
তবে পিসিবি তখন তার সঙ্গে কথা বলেছিল বলে জানান ইউনিস। তিনি বলেন, ‘দৃষ্টিভঙ্গি বা আচরণ পরিবর্তনের জন্য ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) আমার সঙ্গে কথা বলেছিল। তাহলে কেন খেলোয়াড়রা পিসিবি চেয়ারম্যান ইজাজ বাটের সঙ্গে দেখা করে এবং একজন সিনিয়র খেলোয়াড় অর্থাৎ আফ্রিদি অধিনায়ক বদলানোর কথা বলেছিল। আমার মনে হয়, ওর অধিনায়ক হওয়ার ইচ্ছে থেকেই এই কথা বলেছিল।’
২০০৯ সালে ইউনিস খানের নেতৃত্বেই আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল পাকিস্তান। এরপর অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ান ইউনিস খান। তার পদত্যাগের পর পাকিস্তানের লাল বল এবং সাদা বলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পান শহিদ আফ্রিদি এবং মিসবাহ-উল হক।