রাজধানীতে লকডাউনের প্রথম সকাল

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে সারাদেশে ঘোষিত কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে আজ। সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকার রাস্তা ঘাটে সাধারণ মানুষের উপস্থিতিও তেমন একটা দেখা যায়নি। তবে কিছু এলাকায় চিত্রটি ছিলো ভিন্ন। এ ছাড়া লকডাউনে সচেতন করতে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করার দৃশ্যও চোখে পড়ে।বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, খিলগাঁও, মগবাজার, বাজাবো ও রাজারবাগ এলাকা ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
সকাল থেকেই মিরপুর ১১, ৬ ও ৭ নম্বর সেকশন ঘুরে কিছুটা ঢিলেঢালা লকডাউন চোখে পড়লো। রাস্তায় সাধারণ মানুষের উপস্থিতি কম হলেও রিকশার উপস্থিতি ছিলো বেশ। ব্যক্তিগত গাড়ি, মাইক্রোবাস চলতে দেখা গেছে। এসব এলাকা ঘুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনও টহল চোখে পড়েনি। এ ছাড়া লকডাউন উপলক্ষে গতকাল বুধবার দুপুর থেকে এলাকাগুলোতে মাইকিং করা হয়।
তবে লকডাউনে ভিন্ন চিত্র দেখা গেলো মিরপুর ৭ নম্বর সেকশনে। সেকশনের রাস্তাগুলোতে প্রচুর মানুষের আনাগোনা দেখা গেছে। ভ্যানে ভ্যানে সবজি বিক্রি হচ্ছে। ২ নম্বর সড়কে লোকজন চা স্টলে বসে আড্ডা দিচ্ছে। অনেকেরই মুখে মাস্ক নেই। দু’একজন বাদে বেশিরভাগেরই মাস্ক থুতনির নিচে নামানো।
বাইরে বসে আছেন কেন- এমন প্রশ্নে বলেন, ‘লকডাউন দেখতে বের হয়েছি।’ এই এলাকায় বেশিরভাগই নিম্ন আয়ের মানুষের বসবাস।
এদিকে খিলগাঁও, বাজাবো ও রাজারবাগ এলাকায় লকডাউনের আওতামুক্ত ছাড়া সব ধরণের দোকানপাট বন্ধ দেখা গেছে। রাস্তা ঘাটে সাধারণ মানুষের উপস্থিতিও তেমন একটা দেখা যায়নি। মাঝেমধ্যে পুলিশকে এলাকায় টহল দিতে দেখা গেছে।
সকাল থেকে খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় বেশ কয়েকজন ‍পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। মানুষ বের হলেই তারা কারণ জানতে চাচ্ছেন। উপযুক্ত কারণ না দেখাতে পারলে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এ ছাড়া ওই সড়কে স্কাউটের স্বেচ্ছাসেবকদেরও দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
পুলিশ সদস্য ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আমরা কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করছি। বিনা কারণে কেউ বাসা থেকে বের হলে তাকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। তবে এই এলাকায় যেহেতু একটি কাঁচাবাজার রয়েছে অনেকেই সেখানে বাজার করতে আসেন। এর বাহিরে কাউকে যাতায়াত করতে দেওয়া হচ্ছে না।’
সকাল থেকে কলাবাগান এলাকার প্রধান সড়কগুলো বেশ ফাঁকা দেখা যায়। এসময় অল্প সংখ্যক ব্যক্তিগত গাড়ি রাস্তায় দেখা যায়। তা ছাড়া রিকশা, জরুরি সেবায় নিয়োজিত পরিবহনের সংখ্যা সেই তুলনায় বেশি।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সিগন্যালে পুলিশের চেকপোস্ট দেখা যায়। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, চিকিৎসকের গাড়ি পরিচয় দেওয়া মাত্র ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য গাড়ি দেখলেই থামিয়ে পরিচয়পত্র চাওয়া হচ্ছে এবং ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রধান সড়কের তুলনায় মানুষের আনাগোনা বেশি অলিগলিতে। কেউ নিত্যপণ্য নিতে বেরিয়েছেন আবার কেউবা নাস্তা কিনতে হোটেলের সামনে ভিড় জমিয়েছেন।