বৃষ্টিতে ভিজলে মিলবে যেসব উপকার

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ বর্ষাকালে হঠাৎ করেই যখন তখন বৃষ্টি শুরু হয়। অনেকে শখের বশে বৃষ্টিতে ভিজে থাকেন আবার অনেকেই ব্যস্ততার কারণে পথচলতি অবস্থায় ভিজে যান বৃষ্টিতে। সে যা-ই হোক না কেন বৃষ্টিতে ভিজলে মনে অনেক আনন্দ জাগে।শিশুদের তো আনন্দের শেষ থাকে না। শুধু শিশুরাই না, বড়রাও বৃষ্টিতে ভিজে অনাবিল আনন্দ উপভোগ করেন। তবে অনেকেই ভাবেন, বৃষ্টিতে ভিজলেই জ্বর-সর্দি হবে!
বিষয়টি মোটেও ঠিক নয়। জানেন কি, বৃষ্টিতে ভিজলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। জেনে নিন বৃষ্টিতে ভিজলে আপনার শরীরে যেভাবে উপকার মিলবে-
১. স্বাস্থ্যকর চুল: বৃষ্টির পানিতে প্রাকৃতিকভাবে অ্যালকালাইন থাকে, যা চুলের ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। এটি চুলের গোড়া থেকে সব ময়লা ও খুশকি দূর করে।
তাই নিয়মিত বৃষ্টির পানিতে গোসল করলে রুক্ষ চুল অনেক বেশি স্বাস্থ্যজ্বল হয় ও চকচকে দেখায়। তবে বৃষ্টিতে ভেজার পর ভালোমতো শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় যদি নিমজাতীয় শ্যাম্পু বা সাবান করেন।
২. ভিটামিন বি-১২: বৃষ্টির পানি খুব হালকা এবং অ্যালকালাইন পিএইচ সমৃদ্ধ। বৃষ্টির পানির মধ্যে কিছু অনুজীব থাকে যারা তাদের বিপাক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভিটামিন বি-১২ তৈরি করে।
সুতরাং আপানার যদি ভিটামিনের অভাব থাকে; তাহলে নিয়মিত ১০-১৫ মিনিট বৃষ্টিতে ভিজতে পারেন। তবে বৃষ্টিতে ভেজার পর অবশ্যই সাবান দিয়ে ভালোমতো গোসল করে নিতে হবে।
৩. হরমোনের ভারসাম্য: অনেকেই হরমোনের ভারসাম্যহীনতায় ভুগে থাকেন। এ সমস্যারও সমাধান পাবেন নিয়মিত বৃষ্টিতে ভিজলে। হরমোনের ভারসাম্য ঠিক হবে খুব শিগগিরই।
৪. কানের সমস্যার সমাধান: বৃষ্টির পানি আরেকটি উপকার করে আর তা হচ্ছে কানের সব ধরণের সমস্যা দূর করা। কান ব্যথা বা ইনফেকশন সারানোর ক্ষেত্রে বৃষ্টির পানি বেশ উপকারী।
তবে মাত্রাতিরিক্ত ভিজলে বা বাতাস থাকলে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। ১০-১৫ মিনিটের বেশি ভেজা উচিত নয়। ভেজার পরপরই হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করে ফেলতে হবে।
৫. চুলকানির সমাধান: বর্ষা মৌসুমে অনেকেই চর্মরোগে ভুগে থাকেন। ত্বকের বিভিন্ন ফুসকুড়ি ও চুলকানির সমাধান আছে বৃষ্টির পানিতে। বৃষ্টির পানিতে ভিজলে বা নিয়মিত গোসল করলে চুলকানি ও ত্বকের খসখসে ভাব চলে যায়। একইসঙ্গে শরীরও ঠান্ডা হয়ে যায়।
৬. মন খুশি হয়: বৃষ্টিতে ভিজলে শরীরে এন্ডোরফিন ও সেরাটোনিন নামক হরমোনোর ক্ষরণ হয়। যা আমাদের আনন্দের অনুভূতি দেয়। এ কারণে বৃষ্টিতে ভিজলে সব দুঃশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই সুযোগ পেলেই ঝুম বৃষ্টিতে নেমে পড়ুন ভিজতে!