সভ্য দেশ হলে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দিতো: মির্জা আব্বাস

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, সভ্য দেশ হলে অবশ্যই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় খরচে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতো বা অনুমতি দিতো। কিন্তু এই সরকার সেটা করেনি, করবেও না। আমরা তাদের নিকট থেকে আর আশাও করতে পারি না। তিনি বলেন, তারপরও আমরা তার চিকিৎসার জন্য জোর দাবি জানাবো। বেগম খালেদা জিয়ার যদি কিছু হয় তাহলে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে বর্তমান সরকারকে। আজ হোক কাল হোক মাফ পাওয়ার কোনো সুযোগ আপনাদের নেই।রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস বলেন, যখন আমি ঘরের মধ্যে স্লোগান শুনি তখন আমি ভীত হয়ে যাই। আর এই স্লোগান যখন আমি রাজপথে শুনি তখন আমি সাহসী হয়ে যাই। এই স্লোগান আমাদের ঘরের মধ্যে নয়, রাজপথে দিতে হবে। সেই প্রস্তুতি নিন।
তিনি বলেন, এই স্লোগান যখন আওয়ামী সরকারের কানে পৌঁছাবে, আর এই ছোট ছোট মিটিংয়ের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ হবে, তখন এই স্লোগানে সরকার নড়বড়ে হয়ে যাবে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।
বিএনপির এই নীতিনির্ধাক বলেন, আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে বিএনপি ছাড়া কাউকেই চোখে দেখে না। বিএনপি ছাড়া তাদের কথা বলার কোনো বিষয় নেই। দেশে করোনায় হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। টিকা নিয়ে কারচুপি করলেন, টিকার কারণে করোনা পরিস্থিতি জটিল হয়ে যাচ্ছে। লুট করে টাকা বিদেশে জমা হচ্ছে। এই সম্পর্কে কোনো কথা নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা লুট হয়ে গিয়েছে। সেই সম্পর্কে কোনো কথা নেই।
‘বিএনপি হচ্ছে অত্যাচারের ব্রান্ড’ আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন মন্তব্যের জবাবে সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস বলেন, আপনারা ব্রান্ড শব্দটা শিখলেন কবে? অবৈধভাবে টাকা কামিয়েছেন। অবৈধভাবে এই সরকারকে ব্যবহার করে টাকা কামিয়ে ব্রান্ডের কাপড় পরেন, আর বিদেশ থেকে সেলাই করে নিয়ে আসেন। আমরা এসব বুঝি।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বর্তমান সরকার অত্যাচারের ব্রান্ড, খুনের ব্রান্ড, গুমের ব্রান্ড, লুটের ব্রান্ড। অত্যাচারের যত সীমা রয়েছে এই সরকার সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে।’
বিভিন্ন দেশের ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশের সরকারও সেই সকল ফ্যাসিস্ট সরকারের অন্তর্ভুক্ত। তাদের মতো এই সরকারেরও করুণ পরিনতি হবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুল বারি হেলাল, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।