স্রোতের বিপরীতে রনির লড়াই, বড় জয় আবাহনীর

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ আবাহনী লিমিটেডের রেকর্ড রান তাড়া করতে পারলো না মোহামেডান স্পোর্টিং লিমিটেড। ৪২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা দলের হয়ে ব্যাট হাতে লড়েছেন বোলার আবু হায়দার রনি। কিন্তু শুরুতে উইকেটের মিছিল হওয়ায় হারের চিত্রনাট্য লেখা হয়ে যায় আগেই।
শনিবার (২০ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় লড়াইয়ে নামে দুই দল। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান করে মুশফিকের দল। টার্গেটে খেলতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান করে মোহামেডান। সুপার লিগের প্রথম ম্যাচে হারতে হয়েছে ৬০ রানে।
৪২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে যখন ধুঁকছিল দল, তখন দলের হাল ধরেন রনি। খেলেন ক্যারিয়ার সেরা ৪২ বলে ৫৩ রানের ইনিংস। সপ্তম ওভারে ক্রিজে এসে থাকেন ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত। ডিপ মিড উইকেটে সাইফউদ্দিনকে দারুণ ছয়ে পূর্ণ করেন অর্ধশতক। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৫টি চার ও ২টি ছয়ে। স্রোতের বিপরীতে রনির লড়াই মোহামেডানের একমাত্র পাওয়া। এর আগে তার সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল অপরাজিত ২৮ রানের।
তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছিলেন মাহমুদুল হাসান। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৭ বলে ৩৬ রান। দ্রুত ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর এ দুজনেই মূলত লড়াই করেন।
সাইফউদ্দিনের বোলিং তোপে শুরুতেই বিধ্বস্ত মোহামেডান স্পোর্টিং লিমিটেড। আবাহনী লিমিটেডের দেওয়া রেকর্ড ১৯৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে রানের খাতা না খুলে দুই উইকেট হারায় সাদাকালোর দল।
রান তাড়া করতে নেমে সাইফউদ্দিনের করা ইনিংসের তৃতীয় বলে ডিপ স্কয়ার লেগে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন অভিষেক মিত্র। এর ১ বল পরেই উইকেটের পেছনে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দেন শামসুর রহমান শুভ। দুজনেই ফেরেন ডাক মেরে। এরপর মোসাদ্দেকের জোড়া আঘাতে সাজঘরে ফেরেন ইরফান শুক্কুর ও নাদিফ চৌধুরী।
প্রথম ওভারে সাইফের আক্রমণ সামলে ওঠার চেষ্টা করছিলেন ইরফান। কিন্তু মোসাদ্দেকের ঘূর্ণিতে ধরা পড়েন ১৮ বলে ২৭ রান করে। বোল্ড হয়ে ফেরেন সাজঘরে। একই ওভারে ক্রিজে এসে নাদিফ চৌধুরী ক্যাচ তুলে দেন মোসাদ্দেকের হাতেই।
মোসাদ্দেকের পরেই আঘাত হানেন আরাফাত সানি। তিনি শূন্য রানে ফেরান অধিনায়ক শুভাগত হোমকে। শুভাগত সানির ঘূর্ণিতে পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দেন নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে। এর আগে একই ওভারে রানআউট হয়ে ফেরেন আব্দুল মাজিদ। তার ব্যাট থেকে আসে ১০ রান।
সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন সাইফউদ্দিন ও মোসাদ্দেক।
এর আগে আবাহনী রেকর্ড ১৯৪ রানে টার্গেট দেয়। চলতি আসরে সর্বোচ্চ ১৮৩ রান করেছিল আবাহনী। একবার প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ও আরেকবার শাইনপুকুরের বিপক্ষে এ রান করে দলটি। এবার নিজেদের রেকর্ড নিজেরাই ছাড়িয়ে গেলো।
আবাহনীর হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ বলে ৫৭ রান করেছিলেন মুশফিক। এ ছাড়া মুনিম শাহরিয়ার ২৭ বলে ৪৩ রান করেন। আবাহনীর এ জয়ে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে সরিয়ে শীর্ষে উঠে আবাহনী। ১২ ম্যাচ শেষে দলটির পয়েন্ট ১৮। সমান ম্যাচ শেষে প্রাইম ব্যাংকেরও একই পয়েন্ট। রানরেটে এগিয়ে থাকায় আবাহনী শীর্ষে ওঠে। ১২ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে চারে আছে মোহামেডান।