ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা নিয়ে যা বললেন পরীমনি

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ চলতি সময়ের আলোচিত নায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তবে অনেককে অভিযোগ করেও বিচার পাচ্ছেন না বলেও দাবি তার। এ নিয়ে রোববার রাতেই সংবাদ সম্মেলন করেছেন এ নায়িকা। সেখানে তিনি বিস্তারিত বলেন। পরীমনির অভিযোগ, বুধবার রাত ১২ টার দিকে উত্তরায় বোট ক্লাবে তার সঙ্গে নাসির ইউ মাহমুদ নামে প্রতিষ্ঠিত এক ব্যবসায়ী ক্লাবকর্তা ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা চালান। যিনি নিজেকে বোট ক্লাবের সাবেক প্রেসিডেন্ট পরিচয় দেন। ঘটনা প্রসঙ্গে পরীমনি জানিয়েছেন, ওই রাতে পারিবারিক বন্ধু অমি, ব্যক্তিগত রূপসজ্জাশিল্পী জিমি ও এক আত্মীয়কে নিয়ে বের হন পরীমনি। সেখান থেকে অমি কৌশলে তাকে উত্তরার বোট ক্লাবে নিয়ে যান।
যেখানে মদ্যপানরত এক ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিচয় করানো হয়। ওই ব্যক্তিদেরই একজন হঠাৎ জোর করে তাকে মদ্যপান করানোর চেষ্টা করেন। তাতে রাজি না হওয়ায় শারীরিক নির্যাতন করেছেন ওই ব্যক্তি। পরে পরী জেনেছেন তিনি প্রতিষ্ঠিত এক ব্যবসায়ী ক্লাবকর্তা। সে সময় পরীর ব্যক্তিগত রূপসজ্জাশিল্পী জিমিকেও নির্যাতন করা হয়েছে বলে পরীর অভিযোগ। তিনি আরো জানান, নাসির ইউ মাহমুদ আইজিপি বেনজির আহমেদের বন্ধু। এদিকে বিষয়টি নিয়ে মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েছেন এ নায়িকা। সংবাদ সম্মেলনে বার বার কান্নায় ভেঙে পড়েন। এই ঘটনায় পরমিনি বনানী থানায় মামলা করতে গেলেও কোন সহযোগিতা পাননি।
এর আগে রোববার সন্ধ্যায় প্রথমে এ নায়িকা প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি খোলা চিঠি পোস্ট করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। সেখানে তিনি বিষয়টি জানান। পরী লিখেছেন-
বরাবর,
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আমি পরীমণি। এই দেশের একজন বাধ্যগত নাগরিক।আমার পেশা চলচ্চিত্র।
আমি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমাকে রেপ এবং হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।
এই বিচার কই চাইবো আমি? কোথায় চাইবো? কে করবে সঠিক বিচার? আমি খুঁজে পাইনি গত চার দিন ধরে। থানা থেকে শুরু করে আমাদের চলচ্চিত্রবন্ধু বেনজির আহমেদ আইজিপি স্যার! আমি কাউকে পাইনা মা। যাদেরকে পেয়েছি সবাই শুধু ঘটনা বিস্তারিত জেনে, দেখছি বলে চুপ হয়ে যায়! আমি মেয়ে, আমি নায়িকা, তার আগে আমি মানুষ। আমি চুপ করে থাকতে পারি না। আজ আমার সাথে যা হয়েছে তা যদি আমি কেবল মেয়ে বলে, লোকে কী বলবে এই গিলানো বাক্য মেনে নিয়ে চুপ হয়ে যাই, তাহলে অনেকের মতো (যাদের অনেক নাম এক্ষুণি মনে পরে গেল) তাদের মতো আমিও কেবল তাদের দল ভারী করতে চলেছি হয়তো। আফসোস ছাড়া কারো কি করবার থাকবে তখন! আমি তাদের মতো চুপ কি করে থাকতে পারি মা?
আমি তো আপনাকে দেখিনি চুপ থেকে কোন অন্যায় মেনে নিতে!
আমার মা যখন মারা যান তখন আমার বয়স আড়াই বছর। এতদিনে কখনো আমার এক মুহুর্ত মাকে খুব দরকার এখন,
মনে হয়নি এটা। আজ মনে হচ্ছে , ভীষণ রকম মনে হচ্ছে মাকে দরকার ,একটু শক্ত করে জড়িয়ে ধরার জন্য দরকার।
আমার আপনাকে দরকার মা। আমার এখন বেঁচে থাকার জন্য আপনাকে দরকার মা।
মা আমি বাচঁতে চাই।
আমাকে বাঁচিয়ে নাও মা।