হাল ছাড়ব না : এরিকসেন

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ মাঠের মধ্যেই নিথর হয়ে গিয়েছিলেন। ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনকে নিয়ে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন সবাই। ইউরো কাপে ফিনল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ চলা অবস্থায় হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের মতো হয় ডেনমার্কের তারকা মিডফিল্ডার এরিকসেনের। প্রাথমিক চিকিৎসায় জ্ঞান না ফেরায় তাকে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সতীর্থ ও ভক্ত-সমর্থকদের অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। এখন পর্যন্ত উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাতেই সময় কাটছে তাদের। এরিকসেনের এই ঘটনার পরই স্থগিত করা হয় ইউরোর ম্যাচটি। তবে হাসপাতালে জরুরী ‘সিপিআর’ চিকিৎসার পর ড্যানিশ মিডফিল্ডারের জ্ঞান ফেরার খবর শুনে ফের মাঠে নামতে রাজি হন সতীর্থরা। যদিও মাঠে নামার পর মানসিক অবস্থা মোটেই ভালো ছিল না ডেনমার্কের খেলোয়াড়দের। যার স্পষ্ট ছাপ দেখা গেছে পারফরম্যান্সে। পুরো ম্যাচে দাপট দেখিয়ে খেললেও গোল আদায় করতে পারেনি ডেনমার্ক। বরং এক গোলে পিছিয়ে পড়ার পর পেনাল্টি পেয়ে সেটিও মিস করে। সাবেক চ্যাম্পিয়নরা হারে প্রথমবারের মতো ইউরো খেলতে আসা ফিনল্যান্ডের কাছে। তাকে নিয়ে সতীর্থরা কতটা চিন্তিত, সেটি বুঝতে পারছিলেন এরিকসেনও। ডেনমার্কের কোচ কেসপার জামল্যান্ড জানান, জ্ঞান ফেরার পর সতীর্থদের উদ্দেশ্যে একটি বার্তা পাঠিয়েছিলেন এই মিডফিল্ডার, যাতে লেখা ছিল, ‘আমার মনে, আমি যতটা খারাপ অনুভব করছি তোমরা তার চেয়ে বেশি। আমার মনে হচ্ছে, এখনই যদি ট্রেনিংয়ে নেমে যেতে পারতাম!’
এ তো ছিল সতীর্থদের উদ্দেশ্যে বার্তা। এবার সবার সামনে নীরবতা ভাঙলেন এরিকসেন। এজেন্টের মাধ্যমে ‘গেজেটা ডেলো স্পোর্ট’কে দেয়া এক বিবৃতিতে ২৯ বছর বয়সী এই ফুটবলার ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন। এত বড় দুর্ঘটনার পরও হাল ছাড়বেন না জানিয়ে এরিকসেন বলেন, ‘ধন্যবাদ। আমি হাল ছাড়ব না। এখন একটু সুস্থ বোধ করছি। তবে কি ঘটেছে, বুঝতে চেষ্টা করছি। আমার জন্য আপনারা যা করেছেন, তার জন্য কৃতজ্ঞতা।’ তবে কি কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেটি এখনও পুরোপুরি পরিষ্কার নয়। ডেনমার্ক দলের চিকিৎসক মর্টেন বোয়েসেন জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত মেডিকেল রেজাল্টে সব কিছু নরমালই এসেছে। গণমাধ্যমকর্মীদের বোয়েসেন বলেন, ‘পরীক্ষায় এখন পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাকই দেখা যাচ্ছে। আমরা বলতে পারছি না কেন এটা হলো। আমিও সামনে থেকে দেখিনি। ঘটনাটা স্ক্রিনে দেখেছি। আপনারা যেমন দেখেছেন আমিও তেমনই। এর ব্যাখ্যা দিতে পারছি না।’ তবে বোয়েসেনের ধারণা, হার্ট অ্যাটাকই হয়েছিল এরিকসেনের। তিনি বলেন, ‘সে পড়ে গিয়েছিল। আমরা মনে করছি, এটা কার্ডিয়াক এরেস্টই (হার্ট অ্যাটাক)। তাকে হারানোর কত কাছে ছিলাম আমরা? আমি আসলে এটা বলতে পারব না।’