লকডাউনেও সাতক্ষীরায় শনাক্তের হার ৬৪ শতাংশ, মৃত্যু ৪ জনের

0

সাতক্ষীরা সংবাদদাতা॥ সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও সদর হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দুজন করোনা পজিটিভ এবং দুজনের করোনা উপসর্গ ছিলো। গত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ৮১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ৬৪.১৯ শতাংশ। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ ছিলো ৩৬.১৭ শতাংশ। একদিনের ব্যবধানে শনাক্তের হার ২৮.০২ শতাংশ বেড়ে গেলো। মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন সাতক্ষীরা সদরের ফিংড়ি ইউনিয়নের মৃত নারালীর ছেলে নজরুল ইসলাম (৭০), আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের মৃত গফ্ফার গাজীর ছেলে মুক্তার আলী (৬৫), সদরের ধুলিহর ইউনিয়নের ভালুকা চাঁদপুর গ্রামের আব্দুর রহিম (৮৫) ও যশোরের সাগরদাড়ি গ্রামের জনাব আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেন (৪৫)। সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ফোকাল পারসন ডা. মানষ কুমার মন্ডল বলেন, করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নজরুল ও মুক্তার আলীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজের ল্যাবে ৮১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৬৪.১৯ শতাংশ। সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. ফয়সাল আহমেদ বলেন, আব্দুর রহিম ও ইসমাইল করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এদিকে সাতক্ষীরায় দ্বিতীয় দফার সাতদিনের লকডাউনের দ্বিতীয় দিন চললেও মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে চলতে দেখা গেছে। পুলিশ শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যারিকেড দিলেও মানুষ তা মানছে না। লকডাউনে ঢিলেঢালা ভাব দেখা গেছে। জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ঢাকা, খুলনা ও যশোর থেকে সাতক্ষীরামুখী সব প্রবেশ পথ।