৩ জনকে গুলি করে হত্যা, এএসআই সৌমেন বরখাস্ত

0

কুষ্টিয়া সংবাদদাতা॥ কুষ্টিয়ায় দিনদুপুরে গুলি করে স্ত্রী ও সৎ ছেলেসহ তিনজনকে হত্যার ঘটনায় খুলনার ফুলতলা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সৌমেন রায়কে বরখাস্ত করা হয়েছে। রবিবার (১৩ জুন) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনার পুলিশ সুপার (এসপি) মাহবুব হাসান। তিনি বলেন, সৌমেনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এরই মধ্যে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, ফুলতলা থানার পাশে তাজপুরে সৌমেন প্রথম স্ত্রী লাকী রায় ও দুই সন্তানসহ বসবাস করতেন। ঘটনার পর লাকী রায়ের সঙ্গে পুলিশের কথা হয়েছে। বিষয়টির খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি অফিসিয়াল কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কুষ্টিয়া শহরের কাস্টমস মোড়ে দ্বিতীয় স্ত্রী-সৎ ছেলে ও এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেন এএসআই সৌমেন রায়। এ ঘটনায় তাকে আটক করে পুলিশ। নিহতরা হলেন আসমা খাতুন (৩০) ও তার ছেলে রবিন (৬) এবং সঙ্গে থাকা শাকিল (৩৫)। তাদের সবার বাড়ি কুমারখালীর নাটুরিয়া গ্রামে। তবে তারা কুষ্টিয়া শহরে বসবাস করতেন।নিহত শাকিল একজন বিকাশকর্মী ছিলেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের কাস্টম মোড়ে তিনতলা একটি ভবনের সামনে এক নারী পাঁচ বছরের ছেলেকে নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। এসময় সেখানে এক পুরুষও ছিলেন। হঠাৎ এক ব্যক্তি প্রথমে ওই নারীর মাথায় গুলি করেন। এরপর পাশে থাকা পুরুষের মাথায় গুলি করেন। ভয়ে ছেলেটি দৌড়ে পালাতে গেলে তাকেও ধরে মাথায় গুলি করা হয়। আশপাশের লোকজন গুলি করা ব্যক্তিকে ধরতে গেলে তিনি দৌড়ে তিনতলা ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়েন। এরপর লোকজন জড়ো হয়ে ওই ভবন লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নারীকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে অস্ত্রোপচারকক্ষে গুলিবিদ্ধ পুরুষ ও শিশুর মৃত্যু হয়।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত এএসআই সৌমেনকে আমরা আটক করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সঠিক তথ্য জানাতে পারব।’ খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বলেন, আটক সৌমেন রায় ফুলতলা থানার এএসআই। আজ সকাল থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। তিনি ছুটি না নিয়ে আনঅফিশিয়ালি কুষ্টিয়ায় চলে গেছেন। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’