পেঁয়াজ-চালে কমতি, বেড়েছে রসুনের দাম

0

খুলনা সংবাদদাতা॥ ভারতীয় চাল আমদানির পর খুচরা পর্যায়ে মূল্য কমছে কিছু দিন ধরে। তবে গত এক মাসের বেশি সময় ধরে কোনো সুখবর নেই ভোজ্যতেলে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) খোলা বাজারে তেল বিক্রি করেও খুচরা পর্যায়ে প্রভাব ফেলতে পারেনি। তবে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও বেড়েছে রসুনের। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ে দুশ্চিন্তা যাচ্ছে না সাধারণ মানুষের।
খুলনা শহরের খুচরা বাজারে গিয়ে জানা যায়, ২ থেকে ৪ টাকা কমেছে প্রতি কেজি চালে। মানভেদে মিনিকেট চাল প্রতি কেজি ৫৫ থেকে ৫৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে ভারতীয় মিনিকেট ভালো মানের ৫২ টাকা, দেশি-২৮ বালাম ৪৮ টাকা, ভারতীয়-২৮ ৪৫ টাকা, স্বর্ণা ৪২ টাকা, বালাম লোকাল ৫৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু বাসমতি ও নাজিরশাইল চালের মূল্য কমেনি। এটি পূর্বের দরেই যথাক্রমে সাড়ে ৬৭ টাকা ও ৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুলনা বড় বাজারের চাল ব্যবসায়ী কুন্ডু টেড্রাসের মালিক জানান, বাজারে ভারতীয় চালের আমদানি হয়েছে। তাই চালের দাম একটু কমের দিকে।
অন্যদিকে ভোজ্যতেলের বাজারের উত্তাপ কিছুতেই কমছে না। বাজারে কোম্পানিভেদে পাঁচ লিটারের প্রতিটি বোতল ৬৩০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৩৮ টাকায়। ব্যবসায়ীরা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য বেশি থাকায় তেলের বাজার এতো চড়া। খুলনার রূপসা বাজারে গিয়ে জানা যায়, খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ মানভেদে ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশে এ বছর পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হলেও গত সপ্তাহে এক লাফে ৬০ টাকায় উঠে যায় দাম। অপরদিকে রসুনের দাম প্রতি কেজি মানভেদে ১০ থেকে ২০ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে খুচরা বাজারে রসুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। রূপসা বাজারের কাঁচামালের বিক্রেতা আসাদ, মইন, রকিবরা জানান, বাজারে এখন কাঁচামালের দামই নেই। পটল ১০ টাকা, বেগুন ২০ টাকা, করলা ৩০ টাকা, ঝিঙে ও কুশি ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এই ব্যবসায়ীরা আরও জানান, বিধিনিষেধের কারণে ডিমের দাম বেড়েছে। বর্তমানে ৩৬, ৩২ ও ৩০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। এদিকে বাজারে মশুর ডাল মানভেদে প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত একমাস ধরে ডালের বাজার একই অবস্থায় রয়েছে।