পাকিস্তানি তরুণের বাউন্সারে ‘কনকাসনে’ রাসেল

0

লোকনমাজ ডেস্ক॥ বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম মারকুটে ব্যাটসম্যান আন্দ্রে রাসেল। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের জন্য তার সুনাম সবার মুখে মুখে। প্রায় সব দেশের টি-টোয়েন্টি লিগেই দেখা যায় ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানবকে। সে ধারাবাহিকতায় এখন খেলছেন পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল), কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরসের হয়ে। শুক্রবার পিএসএলের দ্বিতীয় অংশে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল কোয়েটা। ইনিংসের ১৩তম ওভারে ব্যাটিংয়ে নামেন রাসেল। শুরু থেকেই স্বভাবসুলভ ঝড়ো ব্যাটিং করছিলেন তিনি। কিন্তু এক ওভারের বেশি থাকতে পারেননি তিনি। মূলত তাকে থাকতে দেননি তরুণ পেসার মোহাম্মদ মুসা।
যার বাউন্সারে পরাস্ত হয়ে কনকাসন সাবস্টিটিউট ডাকতে হয়েছে রাসেলকে। কোয়েটার ইনিংসের ১৪তম ওভারে বোলিংয়ে এসেছিলেন মুসা। সেই ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে পরপর দুইটি বিশাল ছক্কা হাঁকান রাসেল। এ দুই ছক্কায় দলীয় শতক পূরণ হয় ধুঁকতে থাকা কোয়েটার। তাদের আশা ছিল, রাসেলের ব্যাটেই বড় সংগ্রহ পাবে দল। কিন্তু মুসার করা পরের বাউন্সারটিই সামাল দিতে পারেননি রাসেল। দ্রুতগতির বাউন্সারটিতে টানা তৃতীয় ছক্কা হাঁকানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু বল তার ব্যাট ফাঁকি দিয়ে আঘাত সোজা হেলমেট ও কাঁধে। তবে তখন তেমন কিছু টের পাননি। ফিজিও এসে কিছুক্ষণ সেবাশুশ্রূষা দেয়ার পর আবার ব্যাটিংয়ের জন্য দাঁড়িয়ে যান তিনি।
অবশ্য লাভ হয়নি এতে। মুসার বুদ্ধিদীপ্ত পঞ্চম ডেলিভারিতেই সাজঘরের পথ ধরতে হয়েছে রাসেলকে। এবার অফস্ট্যাম্পের অনেক বাইরের শর্ট লেন্থের ডেলিভারিকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে আউটসাইড এজে শর্ট থার্ডম্যানে ধরা পড়েন এ ক্যারিবীয় মারকুটে অলরাউন্ডার। আউট হওয়ার আগে ৬ বলে করেন ১৩ রান। মাথায় বাউন্সারের আঘাত লাগার পরেও ব্যাটিং করায় প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল, হয়তো ফিল্ডিংও করবেন রাসেল। কিন্তু ইসলামাবাদের ইনিংস শুরুর আগে তার অবস্থার খানিক অবনতি ঘটায় কোনো ঝুঁকি নেয়া হয়নি, সোজা পাঠিয়ে দেয়া হাসপাতালে। আর তার বদলে কনকাসন সাবস্টিউট হিসেবে মাঠে নামানো হয় ডানহাতি নাসিম শাহকে। এতে অবশ্য সুফল পায়নি কোয়েটা। আগে ব্যাট করে তারা অলআউট হয়েছিল মাত্র ১৩৩ রানে। জবাবে ইসলামাবাদের ইনিংসের প্রথম ওভার করেছিলেন নাসিম। সেই ওভারে ৪ চারের মারে ১৯ রান করে ইসলামাবাদ। পরে কলিন মুনরোর ৩৬ বলে ৯০ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে মাত্র ১০ ওভারেই ম্যাচ জিতে নেয় তারা।