মোংলায় শনাক্তের হার ৬১ তবুও…

0

মোংলা (বাগেরহাট) সংবাদদাতা॥ মোংলাসহ বাগেরহাট জেলায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ হওয়ায় হু হু করে বেড়েই চলছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গতকাল জেলায় করোনা আক্রান্ত ৬১ জনের মধ্যে হট স্পট মোংলারই রয়েছেন ৪০ জন। মোংলায় করোনা শনাক্তের হার ৬১.২২ ভাগ। তহুরুন্নেছা খুকি (৪২) ও মো. ইব্রাহিম (১৬) নামে দুইজন মারা গেছেন। এছাড়া বুধবার রাতে মারা গেছেন খালেক (৬০), আসলাম (৪২)। মারা যাওয়া ৪ জন করোনা আক্রান্ত ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন চিকিৎসক ডা. দেবপ্রসাদ সাহা। এ নিয়ে করোনায় মোট ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। হঠাৎ করে করোনা রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় সংক্রমণের ভয়ে হাসপাতালমুখো হচ্ছেন না সাধারণ রোগীরা। বাধ্য হয়ে হাসপাতালে গেলেও বেশিরভাগই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।
এদিকে মোংলায় দেশের দ্বিতীয় আন্তজার্তিক সমুদ্র বন্দর হলেও হাসপাতালে নেই কোনো আইসিইউ সুবিধা। সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা না থাকায় হাসপাতালে অক্সিজেন সংকট দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগকে। যেসব করোনা রোগীর অক্সিজেন প্রয়োজন দেখা দিচ্ছে তাদের পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে। এদিকে দুই দফা দেয়া করোনা বিধিনিষেধে পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় গতকাল ভোর থেকে ১৬ই জুন মধ্যরাত পর্যন্ত চলমান কঠোর বিধিনিষেধকে আরো অধিক কঠোরতর বিধিনিষেধ জারি করেছে বাগেরহাট জেলা প্রশাসন। নতুন করে জারি করা এ বিধিনিষেধে নদী পারাপার, যান চলাচল, দোকানপাট, পশুরহাট বন্ধের নির্দেশনা রয়েছে। তবে গতকাল ভোর থেকে তা মানতে দেখা যায়নি। নদী পারাপার ও যান চলাচল করছে, রয়েছে লোকসমাগমও। খোলা রয়েছে দোকানপাটও। স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক ব্যবহারের বালাই নেই। পৌর শহরের প্রবেশমুখগুলোতে পুলিশ আনসার থাকলেও সেখান থেকে হরহামেশা বিভিন্ন ইউনিয়নের লোকজন ও যানবাহন চলাচল করছে। স্থায়ী বন্দর এলাকায়ও বাসসহ বিভিন্ন যান চলাচল ও লোকসমাগমও বেশি দেখা গেছে। নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও ভারতগামী নৌযানের স্টাফরা শহরে নেমে ঘোরাফেরা করছেন। গাদাগাদি করে নদী পারাপার ও নৌযানের স্টাফদের অবাধ চলাচলের বিষয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এই অবস্থায় সংক্রমণের হার আরও বাড়বে বলে ধারণা করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। মোংলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জীবতিষে বিশ্বাস বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় মোংলায় করোনা শনাক্তের হার কিছুটা কমে শতকরা ৬১.২২ ভাগে নেমেছে। আগের তুলনায় শনাক্তের হার কিছুটা কমেছে, এর আগে ৭১ ভাগ পর্যন্ত শনাক্তের হার ছিল। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি শনাক্তের হার আরো কমে আসবে।