করোনা শনাক্তে ঢাকাকে ছাড়ালো রাজশাহী-খুলনা

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের আট বিভাগে আরও দুই হাজার ৫৭৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। ১৯ হাজার ৪৪৭টি নমুনা পরীক্ষায় এ পরিমাণ রোগী শনাক্ত হয়। নমুনা পরীক্ষার হিসেবে সর্বোচ্চ শনাক্তের হার খুলনায় ৩৯ শতাংশ এবং রংপুরে ৩১ শতাংশ। অন্যদিকে ঢাকা বিভাগে শনাক্ত ছয় শতাংশেরও কম। অন্যান্য বিভাগের মধ্যে বরিশালে ১৮ শতাংশ, সিলেটে ১৮ শতাংশ, রাজশাহীতে ১৬ শতাংশ, চট্টগ্রামে ১৪ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১১ শতাংশ করোনা রোগী শনাক্ত হয়। বৃহস্পতিবার (১০ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩১ জন ও নারী নয়জন। মৃতদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩১ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ছয়জন এবং বাসায় তিনজন মারা যান। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৯৮৯ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বমোট ১৯ হাজার ৪৪৭টি নমুনা পরীক্ষার মধ্যে মোট শনাক্ত হওয়া দুই হাজার ৫৭৬ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হয়েছে রাজশাহী বিভাগে। এ বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে পাঁচ হাজার ১১০টি, তার মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ৮১৫ জন। এরপরে রয়েছে খুলনা বিভাগ। এ বিভাগে এক হাজার ৪৮৫টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত হয়েছেন ৫৭৮ জন। ঢাকা বিভাগে পরীক্ষা হওয়া আট হাজার ৬৮৭ জনের মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ৫১৩ জন, এরপর রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ। দুই হাজার ৪০৩টি পরীক্ষার বিপরীতে এখানে শনাক্ত হয়েছেন ৩৩৭ জন, এরপর রংপুর বিভাগে পরীক্ষা হওয়া ৪১৬টি পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত হয়েছেন ১৩০ জন, সিলেট বিভাগে ৫২৪টি নমুনার বিপরীতে শনাক্ত হয়েছেন ৯২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৫৪৪টি পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত হয়েছেন ৬২ জন আর বরিশাল বিভাগে ২৬৮টি পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত হয়েছেন ৪৯ জন।
খুলনা বিভাগের বাগেরহাটে ৬৩ জন, চুয়াডাঙ্গায় ৩৭ জন, যশোরে ২০০ জন, ঝিনাহদহে ২১ জন, খুলনায় ১২২ জন, কুষ্টিয়ায় ৭৩ জন, মেহেরপুরে ৯ জন, নড়াইলে ৫ জন এবং সাতক্ষীরায় ৪৮ জন শনাক্ত হয়। এছাড়া রংপুর বিভাগে শনাক্তকৃত ১৩০ জনের মধ্যে রংপুরে ১৯ জন, পঞ্চগড় একজন, নীলফামারীতে দুইজন, লালমনিরহাটে ১১ জন, কুড়িগ্রামে ১০ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ৩৯ জন, দিনাজপুরে ৪৩ জন এবং গাইবান্ধায় পাঁচজন শনাক্ত হয়।