যশোরের দুই পৌরসভায় বিধিনিষেধ: কাল ছিল শনাক্তের হার ৪২ শতাংশ

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় যশোরের দুটি পৌরসভায় বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এ দুটি হচ্ছে যশোর ও অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌরসভা। বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে গণসমাবেশ ও অনুষ্ঠান কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ। মোটরসাইকেল ও রিকশায় এক জন করে এবং অটোরিকশায় দু’জনের বেশি চলাচল করতে পারবে না। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল তিনটায় জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
কমিটির মুখপাত্র অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান জানান, সভায় যশোরের সার্বিক করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। সভায় বলা হয়, প্রতিদিন যশোর পৌর এলাকা ও অভয়নগরের নওয়াপাড়া পৌর এলাকায় সংক্রমণের হার বেড়ে যাচ্ছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে যশোর পৌর এলাকার দুটি ওয়ার্ডের চলমান বিধিনিষেধ যশোর পৌর এলাকার সব ওয়ার্ডে সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও নওয়াপাড়ার দুটি ওয়ার্ডের চলমান বিধিনিষেধ সকল ওয়ার্ডে সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শিগগিরই এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। এ বিধিনিষেধকে লকডাউন বলা যাবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাব অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রে না দিলেও আগের বিধিনিষেধ ঘোষিত দুটি ওয়ার্ডে দেখা গেছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সড়কে বাঁশ বেঁধে চলাচল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে।
এছাড়া সভায় সকলকে মাস্ক ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে, বাজারে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের ওপর জোর দেয়া হয় সভায়। এদিকে প্রতিদিনই যশোরে বাড়ছে করোনা শনাক্তের হার। সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, ভারত সীমান্তবর্তী যশোর জেলায় মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে করোনা শনাক্তের হার বাড়তে শুরু করে। জুন মাসের শুরুতেও বহাল ছিল ঊর্ধ্বমুখিভাব। গত ৩ জুন শনাক্তের হার ছিল ২৫ শতাংশ, ৪ জুন ২৩ শতাংশ, ৫ জুন ২০ শতাংশ, ৬ জুন বেড়ে ২৩ শতাংশ এবং পরদিন ৭ জুন তা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ২৯ শতাংশে। বৃদ্ধির ধারবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার ৪২ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় এ জেলায় ২৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করে ১২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত জেলায় ৭ হাজার ৯৫৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৮৩ জন। এছাড়া যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫৭ জন। যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান বলেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসন। ঊর্ধ্বমুখি এই হার রুখতে ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ বিভিন্ন এলাকায় মানুষের চলাচল সীমাবদ্ধ করা হয়েছে।