হাসপাতালে অক্সিজেন বন্ধ ও ২২ রোগীর মৃত্যুর খবর, তোলপাড়

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ভারতের উত্তরপ্রদেশের আগরায় একটি বেসরকারি করোনা হাসপাতালে ইচ্ছাকৃতভাবে পাঁচ মিনিটের জন্য অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। এর জেরে ২২ জন রোগীর মৃত্যু হয়। ওই হাসপাতালের মালিকের দাবি, গত ২৭ এপ্রিল এমনটাই করা হয়েছিল। এর জেরে ২২ জন রোগীর প্রাণ যায় বলেও দাবি তার। এ ঘটনাটি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে। অবশ্য তা অস্বীকার করছে স্থানীয় প্রশাসন। যদিও ওই হাসপাতালটিকে বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। একইসাথে প্রকৃত ঘটনা কী, তা নিয়ে তদন্ত হবে বলেও জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। তবে এই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
সম্প্রতি ওই হাসপাতালের মালিক অরিঞ্জয় জৈনের কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ডিং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যদিও ওই অডিওর সত্যতা যাচাই করা যায়নি। ২৮ এপ্রিলে রেকর্ড করা দেড় মিনিটের ওই অডিওতে অরিঞ্জয়ের দাবি, উত্তরপ্রদেশজুড়ে অক্সিজেনের হাহাকারের সময় হাসপাতালে একটি ‘ভুয়া মহড়া’ করা হয়। অক্সিজেনের অভাবে কোনো রোগীর মৃত্যু হতে পারে বা কারা বেঁচে যেতে পারেন, তা দেখতেই নাকি ওই মহড়া— অরিঞ্জয়কে এমনটাই বলতে শোনা গিয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের জানানো হয়েছিল যে মুখ্যমন্ত্রীও অক্সিজেন জোগাড় করতে পারছেন না। ফলে রোগীদের হাসপাতাল ছাড়তে হবে বলে নির্দেশ এসেছিল। রোগীদের পরিবারের লোকজনকে বোঝানো শুরু করি। কয়েকজন হাসপাতাল ছাড়তে রাজি হলেও অনেকেই যেতে চাননি। তখন আমি বললাম, চলো একটা ভুয়া মহড়া করি। কারা মরে আর কারা বেঁচে যান, তা দেখা যাবে। ২৭ এপ্রিল সকাল ৭টায় তা-ই করেছিলাম। কেউ জানেন না। ৫ মিনিটের জন্য হাসপাতালে অক্সিজেন বন্ধ করা হয়েছিল। ২২ জন এমন রোগীকে চিহ্নিত করা গিয়েছে, যারা মারা যেতে পারেন। তাদের দেহ নীল হয়ে যাচ্ছিল।’ এই ঘটনার পর আগরার জেলা প্রশাসক প্রভু এন সিংহ একটি বিবৃতিতে দাবি করেন, ২৬-২৭ এপ্রিল সাতজন করোনায় আক্রান্তের মৃত্যু হলেও অক্সিজেনের অভাবে কেউ মারা যায়নি। তিনি লিখেছেন, ‘(ওই দিন) অক্সিজেনের অভাবে আতঙ্ক তৈরি হলেও ৪৮ ঘণ্টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিল। ওই হাসপাতালে ২২ জনের মৃত্যুর খবর সত্যি নয়। তবে এ নিয়ে আমরা তদন্ত করে দেখব।’
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা