পোশাকশিল্প সংক্রান্ত বন্ডের কার্যক্রম সহজীকরণে বিজিএমইএ’র অনুরোধ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ পোশাকশিল্প সংশ্লিষ্ট বন্ডের কার্যক্রম সহজীকরণের জন্য কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটকে অনুরোধ জানিয়েছে বিজিএমইএ। এ লক্ষ্যে সোমবার (০৭ জুন) বিজিএমইএ’র একটি প্রতিনিধিদল কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের সেগুন বাগানস্থ কার্যালয়ে কমিশনার (কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট (আপিল) কমিশনারেট) কাজী মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাতকালে এ অনুরোধ জানান তারা।
প্রতিনিধিদলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ’র সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম মান্নান (কচি), সহ-সভাপতি মো. শহিদউল্লাহ আজিম, পরিচালক আসিফ আশরাফ, সাবেক পরিচালক মো. মুনির হোসেন, মিতালী গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ ও স্প্যারো অ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শোভন ইসলাম। এ সময় কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনারদ্বয় খালেদ মোহাম্মদ আবু হোসেন এবং মো. জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনাকালে বিজিএমইএ প্রতিনিধিদল জানায়, করোনা মহামারিতে পোশাকশিল্প ক্রান্তিলগ্ন অতিক্রম করছে। এ পরিস্থিতিতে অর্থনীতির চাকা সচল রাখা এবং প্রতিকূল পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পোশাকশিল্প উদ্যোক্তারা প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। উদ্যোক্তারা মনে করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বন্ড কমিশনারেপের পক্ষ থেকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বন্ড সংশ্লিষ্ট পোশাকশিল্পের কার্যক্রমগুলো সহজীকরণের উদ্যোগ নেয়া হলে তা শিল্পকে পরিস্থিতি মোকাীবলায় সহায়তা করবে।
বিজিএমইএ প্রতিনিধিদল পোশাকশিল্পের স্বার্থে বন্ডের কার্যক্রম সহজীকরণের জন্য কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের কাছে যে প্রস্তাবনাসমূহ দিয়েছে সেগুলো হলো-
বন্ড লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত পণ্য বন্ড লাইসেন্সবিহীন সহযোগী রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করার নিমিত্তে পূর্বের ন্যায় ইউপি জারি অব্যাহত রাখা।
সূতা থেকে নিট গার্মেন্টস উৎপাদনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত কমিটি কর্তৃক অপচয় বৃদ্ধির হার পুনর্নির্ধারণ ও সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন পদক্ষেপ হিসেবে বিভিন্ন সংস্থার প্রদেয় সার্ভিসসমূহ ও বার্ষিক নিরীক্ষা, জরিমানা আরোপ ও উৎপাদন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত না করে রফতানিতে সহযোগিতা করা।
কাঁচামালের বিবরণ অন্তর্ভুক্তির জটিলতা নিরসন করা।
তৈরি পোশাকশিল্পের ওভেন গার্মেন্টসের ক্ষেত্রে বার্ষিক নিরীক্ষাকালে আমদানি-রফতানির পরিমাণ নির্ধারণে কেজির পরিবর্তে পূর্বের ন্যায় গজ/মিটার বা স্ব স্ব একক ব্যবহার করা। এ ছাড়াও পোশাকশিল্প সংশ্লিষ্ট বন্ড কার্যক্রম সংক্রান্ত বিরাজমান সমস্যাবলী নিয়েও আলোচনা হয়।
কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট (আপিল) কমিশনারেটের কমিশনার কাজী মোস্তাফিজুর রহমান বিজিএমইএ প্রতিনিধিদলের বক্তব্য শোনেন। তিনি বিজিএমইএ প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘উত্থাপিত প্রস্তাবনাগুলো গুরুত্ব সহকারে পর্যালোচনা করে যৌক্তিকতা অনুযায়ী সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’