মঈন খানের ছেলেকে দলে নেয়া নিয়ে তুলকালাম

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পেয়েছেন কিংবদন্তি উইকেটরক্ষক মঈন খানের ছেলে আজম খান। আসন্ন ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য হার্ডহিটিং এই ব্যাটসম্যানকে দলে ভিড়িয়েছেন নির্বাচকরা। কিন্তু আজমের নামটি ঘোষণা হতেই দেশটির ক্রিকেটাঙ্গনে শুরু হয়েছে নানা সমালোচনা। পাকিস্তানের ক্রিকেটে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ পুরোনো। যেহেতু আজমের বাবা মঈন বড় একজন ক্রিকেটার ছিলেন, তাই আবারও সেই প্রশ্নটা আসছে-বাবার জোরেই কি দলে চলে এলেন আজম? মঈন খান আবার পাকিস্তান সুপার লিগের দল কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরের কোচ। এই দলটিতে বাবার অধীনেই খেলেছেন ২২ বছর বয়সী উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান আজম।
পাকিস্তানের ক্রিকেট সমর্থকদের বড় একটা অংশ মনে করেন, আজমকে দলে আনতে তার বাবা নির্বাচকদের প্রভাবিত করেছেন। ভক্তদের অনেকে তাকে ‘স্লিপ প্লেয়ার’ আখ্যা দিয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে, তরুণ এই খেলোয়াড়ের ফিটনেস নিয়ে, যার ওজন ১০০ কেজিরও বেশি। এক ভক্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে আজম খানের চেয়ে অনেক বেশি প্রতিভাবান খেলোয়াড় রয়েছেন। তার মতো একজনকে দলে আনা নির্বাচকদের বড় ভুল সিদ্ধান্ত।
আজম খানের রেকর্ডও অবশ্য আহামরি কিছু নয়। ক্যারিয়ারে মাত্র একটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন, করেছেন ৫০ রান। ১৫টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে ২৯.৮৯ গড়ে তার উইলো থেকে এসেছে ২৩৯ রান। টি-টোয়েন্টিতে ৩৬ ম্যাচে রান ৭৪৩, গড় ২৩.৯৬। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত পাঁচটি হাফসেঞ্চুরি থাকলেও সেঞ্চুরির দেখা পাননি আজম। এই প্রশ্নটাও পাকিস্তান ক্রিকেটের অনেক সমর্থক আলাদা করে তুলছেন। তবে একটি বিষয় আজম খানকে এগিয়েই রাখবে টি-টোয়েন্টি ফরমেটে। এই ফরমেটে তার স্ট্রাইকরেট ১৫০-এর ওপরে। মিডল অর্ডারে পাকিস্তানের বর্তমান দলে মোহাম্মদ রিজওয়ান আর বাবর আজম ছাড়া ভরসা করার মতো তেমন কেউ নেই। আজমকে নিয়ে তাই ঝুঁকিটা নিয়েছেন নির্বাচকরা।