চীনের কাছে সরকারের দুঃখ প্রকাশ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ সিনোফার্মের টিকা নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার মধ্যে চীনের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকার। গতকাল এ তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, সরকারের একজন কর্মকর্তা টিকার দাম প্রকাশ করায় চীন দুঃখ পেয়েছে। এ পরিস্থিতিতে তারা আমাদের চিঠি লিখেছিল। আমরা দুঃখ প্রকাশ করে চিঠির জবাব দিয়েছি। সৃষ্ট জটিলতা খুব দ্রুত কেটে যাবে বলে আশা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে তারা কম দামে আমাদের টিকা দিয়েছিল। কথা ছিল এটা প্রকাশ হবে না। নন ডিসক্লোজার ছিল।
কোনো একজন কর্মকর্তা এটা প্রকাশ করেছিলেন। উনি তো ব্যবসা করেন না উনি তো বোঝেননি। চীন সরকার এতে খুব দুঃখ পেয়েছে। তারা এ সংক্রান্ত একটা নোটও পাঠিয়েছে। নোট পাওয়ার পর ঢাকার তরফ থেকে তাদের দুঃখ প্রকাশ করে চিঠিও দেয়া হয়েছে। চীন সরকার ঢাকার বিষয়টা উপলব্ধি করেছে। মন্ত্রী আরো বলেন, এখন চীন এই টিকার পরিবর্তে অন্য কিছু চায় বাংলাদেশের কাছে। তারা কী চায় জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তা খোলাসা করেননি। তবে তিনি বলেছেন, চায়নার সঙ্গে অন্য এনগেজমেন্ট রয়েছে বাংলাদেশের। বিভিন্ন জায়গায় তারা বাংলাদেশের সাপোর্ট চায়। এ নিয়ে কথাবার্তা চলছে। তবে বাংলাদেশ সরকার এটা ম্যানেজ করতে পারবে বলে আশা করেন মন্ত্রী। জুন-জুলাই ও আগস্টের শেষদিকে ৫০ লাখ ডোজ করে টিকা আনার জন্য চীনের কাছে ক্রয় প্রস্তাব দিয়েছিল বাংলাদেশ। চীনের চায়না ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপ বা সিনোফার্ম থেকে এই দেড় কোটি ডোজ টিকা কেনার কথা। বাণিজ্যিক চুক্তির আওতায় প্রথম চালানে সিনোফার্মের ৫০ লাখ টিকা জুনে বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে। তিন মাসে সিনোফার্মের কাছ থেকে দেড় কোটি ডোজ টিকা কিনতে দুই পক্ষের তিনটি চুক্তি সইয়ের জন্য খসড়া তৈরি করা হয়। ক্রয় প্রস্তাবসহ চুক্তির কাগজ গত সপ্তাহে চীনের কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে একজন কর্মকর্তা দাম প্রকাশ করে দেয়ায় সিনোফার্মের টিকা নিয়ে নতুন সংকট তৈরি হয়। চীনের সঙ্গে করা খসড়া চুক্তিতে বাংলাদেশ অঙ্গীকার করেছে, কোনো অবস্থাতেই টিকার দাম প্রকাশ হবে না। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন দামে চীন টিকা সরবরাহ করছে। বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় সিনোফার্ম সর্বনিম্ন মূল্যে টিকা সরবরাহে সম্মত হয়েছিল। বাংলাদেশের মিডিয়ায় টিকার দাম প্রকাশের পর শ্রীলঙ্কা প্রথম আপত্তি জানায়। চীন বাংলাদেশের কাছে এক কূটনৈতিক পত্রে জানতে চেয়েছে- কেন দাম প্রকাশ করা হলো। বলা হয়েছিল দাম প্রকাশ করা হলে তারা বাণিজ্যিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।