একদম সঠিক কথা বলেছেন আফ্রিদি : শোয়েব মালিক

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ২০০৯ সালে ক্রিকেটকে প্রায় গুডবাই জানিয়ে দিতে চেয়েছিলেন পাকিস্তানের বুমবুমখ্যাত শহিদ আফ্রিদি। সেটা যে পুরোপুরি অধিনায়ক শোয়েব মালিকের কারণে, তা কিছুদিন আগেই অকপটে জানিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক। আফ্রিদির করা এই অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন শোয়েব মালিক নিজেও। বলেছেন, ‘আফ্রিদি পুরোপুরি সঠিক কথা বলেছে। তবে আমার অধিনায়কত্বে এমন কী ছিল, যেটার কারণে তাকে অবসর নেয়ার সিদ্ধান্তে চলে যেতে হয়েছিল, তা আমি জানি না।’
২০০৯ সালে ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দিয়েছিলেন পাকিস্তানের অলরাউন্ডার শাহিদ আফ্রিদি। কিছুদিন আগে তিনি সামা টিভিতে ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে বলেছিলেন, তার অবসর নেওয়া পিছনে কারণ ছিল শোয়েব মালিকের অধিনায়কত্ব। আফ্রিদি বলেছিলেন, ‘আমি সিদ্ধান্তি নিয়েছিলাম যে আর ক্রিকেট খেলব না।’ অবসর নেওয়ার কারণ হিসাবে আফ্রিদি বলেন, ‘শোয়েব মালিক অধিনায়ক হয়েছিলেন এবং দলের মধ্যে অনেক রাজনীতি চলছিল।’ কিন্তু নিজের অধিনায়কত্বের কারণেই যে অবসর নিতে হয়েছিল আফ্রিদিকে, এমন তথ্য জানা নেই ২০০৯ সালে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক শোয়েব মালিকের। এভাবেই আফ্রিদির অবসর বিতর্ক নিয়ে জবাব দিলেন সাবেক পাক অধিনায়ক শোয়েব মালিক। তার এই বক্তব্য পাকিস্তান ক্রিকেটে নতুন করে বিতর্কের ঝড় তুলতে পারে। এরপরই তার বিরুদ্ধে শাহিদ আফ্রিদির করা সকল বিতর্কের জবাব দেন ৩৯ বছরের মালিক। শোয়েব মালিক জানান, একদম ঠিক বলেছেন আফ্রিদি। মালিক বলেন, ‘তার অবসরে আমার অধিনায়কত্বের প্রভাব কতটা ছিল তা আমি জানি না, আমার মনে হয় তিনি তার বইয়ে সে সম্পর্কে লিখেছেন। আমাকেও একই প্রশ্ন আগে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল এবং আমি বলেছিলাম যে, যদি তিনি বলেন আমি অনেক তাড়াতাড়ি অধিনায়কত্বের পদ পেয়েছিলাম, তাহলে তিনিই ঠিকই বলেছেন। অনেক সাক্ষাৎকারে আমি বলেছি যে, ২০০৭ সালে আমার যদি আজকের মতো অভিজ্ঞতা থাকত, তাহলে কোনোমতেই আমি ওই প্রস্তাব গ্রহণ করতাম না।’
২০০৭ সালে পাকিস্তান দলের অধিনায়ক করা হয়েছিল সে সময়কার তরুণ শোয়েব মালিককে। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ২৫। এরপরে পাকিস্তান দলে শুরু হয় নানা বিতর্ক। শোয়েবের অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্নও উঠেছিল। ওই সময়ই অবসর নিয়েছিলেন আফ্রিদি। তবে এরমাঝেই শোয়েব মালিকের অধিনায়কত্বে পাকিস্তান শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তাদের প্রথম সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল। ৩৬টা একদিনের ম্যাচের মধ্যে ২৪টা ম্যাচে জিতেছিল মালিকের পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টিতে ১৭ ম্যাচের মধ্যে জিতেছিল ১২টিতে। শহিদ আফ্রিদিও এরপর অবসর ভেঙে ফিরেছিলেন পাকিস্তান দলে। হয়েছিলেন অধিনায়ক। এরপর দীর্ঘদিন খেলেছেন পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়ে। ৩৯ বছর বয়সী শোয়েব মালিক নেতৃত্বে না থাকলেও এখনও খেলে যাচ্ছেন। সাদা বলের ক্রিকেটে নিজের জায়গা করে নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।