৫০ কেজি ওজন কমিয়ে যেভাবে ফ্যাট থেকে ফিট হলেন অর্জুন

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥‘ইসহাক জাদ ‘ সিনেমা দিয়ে লাখ লাখ তরুণীর মনকাড়েন তিনি। তার অভিনয় দক্ষতা সবাইকে মুগ্ধ করেছে তা কিন্তু নয়, তার ‘তেভরও’ সিনেমা টক অফ টাউন হয়ে উঠেছে। তিনি একাধারে দীপিকা পাডুকোন, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এবং আলিয়া ভট্টের মতো নামজাদা অভিনেত্রীর সঙ্গে পর্দা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন।
বলছি অর্জুন কাপুরের কথা। এখন তার সিক্স প্যাক বডি দেখে সবাই পাগল হলেও অতীতে তার ওজন কত ছিল, তা জানলে অবাক হয়ে যাবেন। ১৪০ কেজি ওজন ছিল অর্জুনের। মজার বিষয় হলো, কোনো বিমানের সিটেও জায়গা হত না তার। অতিরিক্ত ওজনের কারণে ভালোভাবে বসতে পারতেন না অর্জুন। তাহলে ভাবুন একবার!
তিনি ১০ সেকেন্ডের বেশি দৌড়াতে পারতেন না। মাত্র ২২ বছর বয়সেই তিনি হাঁপানিসহ বেশ কিছু রোগে ভুগছিলেন। অর্জুন জানান, ‘মোটা হওয়াটাই যেন আমার জীবনের একটি অংশ ছিল। ওজন কমানোর বিষয়ে কখনো ভাবতামই না আমি। তাই অস্বাস্থ্যকর সব খাবার খেয়ে শুধুই ওজন বাড়াতাম। তবে যখন থেকে প্রতিজ্ঞা করেছি ওজন কমাবো; তখন থেকেই আমি ডিটারমাইন্ড।’
অর্জুন কাপুরের দৈনিন্দিন যেসব ওয়ার্কআউট করেন-
বিগত ৪ বছরে ৫০ কেজি ওজন কমিয়ে ফ্যাট থেকে ফিট হয়েছেন অর্জুন। তিনি বলেন, ‘আমি জানতাম ওজন কমানোর কোনো শর্টকাট উপায় নেই। তাই ধৈর্য ধরেছি এবং নিয়ম মেনে ডায়েট ও শরীরচর্চা করেছি।’
১. ওজন প্রশিক্ষণ এবং কার্ডিও অনুশীলন
২. সার্কিট প্রশিক্ষণ
৩. ক্রসফিট প্রশিক্ষণ
৪. বেঞ্চ প্রেস
৫. স্কোয়াটস
৬. ডেডলিফ্টস
৭. পুল আপ
অর্জুন কাপুরের ডায়েট চার্ট
এক সময় অর্জুন একসঙ্গে ছয়টি ম্যাকডোনাল্ডস বার্গার খেতে পারতেন! তবে যখন তিনি বুঝলেন, সঠিক ডায়েট প্ল্যান না করে ওজন কমানো অসম্ভব। ঠিক তখন থেকেই তিনি জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে আছেন।
এ বিষয়ে অর্জুন বলে, ‘প্রতিদিন জিম করলেই ওজন কমে না, সেইসঙ্গে স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুসরণ করতে হয়।’ অর্জুন যেসব খাবার খান-
সকালের খাবার: টোস্ট, ডিমের কুসুমের সঙ্গে ৪-৬টি ডিমের সাদা অংশ।
দুপুরের খাবার: রুটি , ডাল , সাবজি এবং মুরগির মাংস।
রাতের খাবার: মাছ বা মুরগি এবং এক কাপ বাদামি চালের ভাত বা কুইনোয়া।
ওয়ার্কআউট পরে প্রোটিন শেক পান করেন অর্জুন। সাদা ভাতের পরিবর্তে তিনি দক্ষিণ আমেরিকার একটি শস্য কুইনোয়া খান, যা প্রোটিনের একটি ভাল উত্স।
অর্জুন কাপুর মিষ্টি এড়িয়ে যান এবং কার্বস থেকে দূরে থাকেন। চিনি মিষ্টি খাবারের বিকল্প হিসেবে- স্ট্রবেরি, আনারস ইত্যাদি ফল খান। সেইসঙ্গে ব্ল্যাক কফি পান শুরু করেন।