হাইকোর্টের গেটে তালা লাগিয়ে ভুল করছেন : জাফরুল্লাহ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ হাইকোর্ট জনগণের জন্য উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ উল্লেখ করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘সেখানে প্রবেশের ক্ষেত্রে গেটে তালা লাগিয়ে তারা ভুল করছেন। হাইকোর্টের দরজা কখনো বন্ধ হতে পারে না। জনগণের বিচারের জায়গা এটি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে।’ সোমবার (৩১ মে) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবরের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে ছাত্র অধিকার পরিষদের আটক ৫৪ নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের কাছে আবেদন জানান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। আবেদন জমা দেয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকে যদি কাজ না হয়, এটাও জানিয়ে দিতে চাই, আমরা উনার (প্রধান বিচারপতি) বাসস্থানে যাব। ঘেরাও করে বসে থাকব, যতক্ষণ না উনি আমাদের কথা না শুনেন। জনগণের আবেদন না শুনেন। উনার ওই চেয়ারে থাকার অধিকার নাই।’ জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, ‘বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের শ্রদ্ধা রয়েছে, সেটি টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব আপনাদের। আমরা ১৮ জন ব্যক্তি একটা দরখাস্ত করেছিলাম। সেখানে ৫৪ জন ছাত্রের জামিন চেয়েছিলাম। আজকে তিন মাস হয়ে গেছে জামিন হয় না। অথচ সৌভাগ্যের বিষয় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের সাতদিনের মধ্যে জামিন হয়ে গেল। রোজিনার তথা কথিত অপরাধের চেয়েও ছাত্রদের অপরাধ কম।’
ছাত্রদের অপরাধের বিষয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘তাদের অপরাধ, তারা একটি ঘৃণ্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধিক্কার দিয়েছে। এই কারণে তাদের জেলে দিয়েছে। এই ছাত্রদের জামিন না দেয়া এর থেকে বড় অন্যায় আর কী হতে পারে। এই কথাগুলো প্রধান বিচারপতিকে জানাতে এসেছিলাম। উনি (প্রধান বিচারপতি) আজকে অফিসে নাই। উনার প্রতিনিধি রেজিস্টার জেনারেলকে জানালাম।’ ‘আমরা বিচারে হস্তক্ষেপ নয়, দীর্ঘ সূত্রিতা চাই না। ডিস্ট্রিক কোর্টে এই মামলাটা আছে, তারা যেন সেখানে রায় দেয়। রেজিস্ট্রার জেনারেলের চেহারা দেখে মনে হলো তিনি আগামীকাল বিষয়টা ডিস্ট্রিক জজের সঙ্গে উঠাবেন।’ এর আগে বেলা আড়াইটার দিকে রেজিস্ট্রার জেনারেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা জোনায়েদ সাকি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরু, মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজীজ উলফাক, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর ও লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। উল্লেখ্য, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতা করে আন্দোলনে নামে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। সেসময় বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে গ্রেফতার হয় ছাত্র অধিকারসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের ৫৪ নেতাকর্মী।