কোভিশিল্ড রয়েছে মাত্র আড়াই লাখ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর এ পর্যন্ত টিকা দেওয়া হয়েছে ৯৯ লাখ ৬২ হাজার ২৭০ ডোজ। ৯৯ লাখ ৬২ হাজার ২৭০ ডোজের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪১ লাখ ৪২ হাজার ২৫৫ জন আর প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জন। আজ শনিবার ( ২৯ মে) স্বাস্থ্য অধিদফতরের টিকা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়া ৪১ লাখ ৪২ হাজার ২৫৫ জনের মধ্যে পুরুষ ২৬ লাখ ৪৮ হাজার ৯৪৭ জন আর নারী ১৪ লাখ ৯৩ হাজার ৩০৮ জন। আর প্রথম ডোজ টিকা নেওয়া ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জনের মধ্যে পুরুষ ৩৬ লাখ নয় হাজার ৬৫ জন আর নারী ২২ লাখ ১০ হাজার ৯৫০ জন। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, আজ বিকাল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত দেশে টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৯ জন। দেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয়ভাবে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলে। দ্বিতীয় ডোজ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় গত ৮ এপ্রিল থেকে। দেশে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। সেরামের সঙ্গে তিনকোটি ডোজের চুক্তি হয় বাংলাদেশ সরকারের। প্রতিমাসে সেখান থেকে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত সেখান থেকে টিকা এসেছে মাত্র এক কোটি দুই লাখ ডোজ টিকা। সে হিসেবে দেশে এখন এই টিকার ডোজ রয়েছে মাত্র দুই লাখ ৩৭ হাজার ৭৩০ ডোজ। এদিকে টিকার সংকটের কারণে প্রথম ডোজ নেওয়া সবাই এখনই দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারছেন না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন গত ২৩ মে জানিয়েছেন ১৫ লাখের কাছাকাছি মানুষের অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড টিকা পেতে দেরি হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। টিকার মজুত এই সপ্তাহের পর শেষ হওয়ার কারণেই দেরি হবে বলে জানানো হয়। তবে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ পেয়ে যাবে বলেও আশাবাদী অধিদফতর।