দামি মোটরসাইকেলের জন্য ঘর ভাঙছে শান্তা খাতুনের

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যৌতুক হিসেবে একটি দামি মোটরসাইকেল দিতে না পেরে সংসার ভাঙতে বসেছে শান্তা খাতুনের। মাসখানেক আগে শ্বশুর বাড়ির লোকজন আগুনে শরীর ঝলসে দেওয়ার পর থেকে দরিদ্র বাবার বাড়িতে শিশু সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন তিনি। এ ঘটনায় শান্তা যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের ভাগলপুর গ্রামের পঙ্গু আব্দুর রহমানের মেয়ে শান্তার তিন বছর আগে বিয়ে হয় ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার ইউনিয়নের জগনাথপুর গ্রামের মৃত বোরাক মন্ডলের ছেলে খায়রুল ইসলামের। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য প্রায়ই খায়রুল ইসলাম, তার মা জোহরা বেগম ও ভাই ইয়াসিন শান্তাকে নির্যাতন শুরু করে। খায়রুল ইসলাম পঙ্গু শ্বশুরের কাছে একটি পালসার মোটরসাইকেল দাবি করে আসছেন। মেয়ের সুখের কথা বিবেচনা করে শান্তার পিতা-মাতা কয়েক দফা জামাইকে টাকা ও সংসারের মালামাল কিনে দেন। এতেও শান্তার ওপর শ্বশুর বাড়ির লোকেদের অত্যাচার থামেনি। গত বছরের ১৮ এপ্রিল শান্তার ডান হাত আগুনে পুড়িয়ে তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। পিতা আব্দুর রহমান জানান, পালসার মোটরসাইকেল দিতে না পারার কারণে আমার মেয়ের সংসার ভাঙতে বসেছে। সাজিয়ালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ এস আই সুকুমার কুন্ডু জানান, রবিবার অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।