ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্য কমছে না হাসপাতালে

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল এখন বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের দখলে চলে গেছে। নিজেদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান মনে করে তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ব্যবস্থাপত্র ধরে টানাটানি করছেন। ফলে, সাধারণ মানুষ এসব ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের হাতে নাজেহাল হচ্ছেন। প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে বেসরকারি ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা কোন নিয়ম মানে না। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে যে সকল অসুস্থ লোক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন ওই সকল রোগীদের বহিঃর্বিভাগের টিকিটে ব্যবস্থাপত্র দেয়া হয়। চিকিৎসকের চেম্বার থেকে চিকিৎ নেয়ার পর হাসপাতাল ভবনের সিঁড়িতে পা রাখলেই রোগীরা ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের খপ্পরে পড়েন। সিঁড়ির সামনে ও দু’পাশে অপেক্ষায় থাকা প্রতিনিধিরা রোগীর টিকিট হাত থেকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেন এবং মোবাইল ফোনে ছবি নিয়ে থাকেন। কোন লোক কোন শ্রেণির তা বিচার করেন না তারা। এতে অনেক সম্মানি মানুষের সম্মান রক্ষা কষ্টকর হয়ে পড়ে।
এদিকে, অঞ্চল থেকে আসা সাধারণ মানুষের ব্যবস্থাপত্র টানাটানি করাসহ ছবি তোলার সময় তারা (সাধারণ রোগী) ভীত হয়ে পড়েন। এ দৃশ্য প্রতিদিনের। শনি-মঙ্গলবার সপ্তাহে দু’দিন বেলা ১টার পর ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা হাসপাতালে প্রবেশ করতে পারবেন এবং চিকিৎসকদের সাথে সাক্ষাৎ করতে পারবেন। এ নিয়ম চালু থাকার পরও প্রতিনিধিরা তা মানছেন না। উচ্চ শিক্ষিত এসব প্রতিনিধিরা এ ধরনের অনিয়মের আশ্রয় নেয়ায় মাঝেমধ্যে পুলিশ তাদের আটক করে এবং রহস্যজনক কারণে ছেড়ে দেন। এখন ঘটনা প্রায়ই ঘটলেও তাদের দৌরাত্ম্য কখনো বন্ধ হয় না। কোম্পানির প্রতিনিধিদের কাছ থেকে সুবিধা পেয়ে চিকিৎসকগণ তাদের হাসপাতালে প্রবেশে সহযোগিতা করেন। এ ব্যাপারে হাসপাতালের চিকিৎসক কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রতিনিধিদের হাসপাতালে একেবারে প্রবেশ বন্ধ করে দিলে সমস্যা আছে।