বিতর্কে লক্ষ্মীপুরের সাবেক দুই এমপি, বিব্রত এলাকাবাসী

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ লক্ষ্মীপুর-১ রামগঞ্জ আসনের সাবেক এমপি ও তরিকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব এমএ আউয়াল ও লক্ষ্মীপুর-২ রায়পুর আসনের আলোচিত সাবেক এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের কর্মকাণ্ডে বিব্রত স্থানীয় এলাকাবাসীসহ তাদের অনুসারীরা। কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল মানব ও অর্থপাচার মামলায় দণ্ডিত হয়ে কুয়েতের কারাগারে বন্দি রয়েছেন। এম এ আউয়াল রাজধানীর পল্লবীতে সন্তানের সামনে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। গত বুধবার ভোরে কিশোরগঞ্জের ভৈরব শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাবেক এমপি এমএ আউয়ালকে।
এ দুই এমপির কর্মকাণ্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তুমুল ঝড় ওঠে। ব্যবসায়ী ও গণমাধ্যমকর্মী রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি নিজের ফেসবুকে লেখেন, লক্ষ্মীপুর জেলার ৪টি আসনে ভাড়াটিয়া হাইব্রিড এমপি চাইনা। দুই হাইব্রিড এমপির কারণে জেলার মানসম্মান ধুলায় মিশেছে। আগামীতে মাঠের ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই। শিক্ষাবিদ জেডএম ফারুকী নিজের ফেসবুকে আক্ষেপ করে লেখেন, লক্ষ্মীপুরবাসীর গৌরব ও অহঙ্কার সাবেক দুই এমপি।
একজন খুনি ও অপরজন আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবাজ। এদের দুইজনের কর্মকাণ্ডে বিব্রত ও লজ্জিত। এইভাবে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের মনের ভাব প্রকাশ করেছেন। এক সময়ে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত রায়পুর পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইছমাইল হোসেন খোকন বলেন, পাপুল কখনো আওয়ামী লীগের কোনো পদেই ছিলেন না। তিনি উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন। টাকার কাছে সব শেষ। বর্তমানে তার কর্মকাণ্ড ও দুর্নীতির কারণে সাজা হয়েছে। এমপি পদ গেছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কেউ অন্যায় করলে রেহাই নেই। তার উদাহরণ এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল। শুধু যে পাপুল নিজেই এমপি হয়েছেন, তা না নিজের স্ত্রীকেও টাকার বিনিময়ে এমিপ বানিয়েছেন। এদিকে লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি এম এ আউয়ালের ঘনিষ্ঠজন মো. মিজানুর রহমান বলেন, এমপি আউয়াল কিভাবে খুনের ঘটনার মামলায় জড়িত হয়েছেন। সেটা নিয়ে বিব্রত। ব্যবসায়িকভাবে তাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে কিনা, সে বিষয়টি তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা বের করার দাবি জানান তিনি।