যে কারণে গ্রেফতার হলেন মমতার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ চারজন

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ নারদা ঘুষ মামলায় কলকাতা পৌরসভার প্রশাসক ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনের সিনিয়র মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়সহ তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তাদের গ্রেফতার করে। সোমবার সকালে ফিরহাদ হাকিমকে যখন আটক করা হয় তখন তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, নারদা ঘুষ মামলায় যথাযথ অনুমোদন ছাড়াই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে রোববার রাতে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় মন্ত্রী হাকিম ও তৃণমূল কংগ্রেসের আরো তিনজন রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তে সম্মতি দেয় বলে জানা গেছে।
নারদা মামলায় ফিরহাদ হাকিম ছাড়াও বাকি যে তিনজনের বিরুদ্ধে রাজ্যপাল ব্যবস্থা নেয়ার অনুমতি দিয়েছেন, তারা হলেন পশ্চিমবঙ্গের সিনিয়র মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার দুজন সাবেক সদস্য – মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। নারদা নামে একটি পোর্টাল ২০১৪ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে গোপন ক্যামেরায় অভিযান (স্টিং অপারেশন) চালিয়েছিল, যাতে গোপন ক্যামেরায় ওই নেতাদের মোটা অঙ্কের ঘুষ নিতে দেখা যায় । এ ঘটনায় ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা বা সিবিআই পরে যে মামলা শুরু করে তা নারদা ঘুষ মামলা নামে পরিচিত। ২০১৮ সালে কলকাতার নতুন মেয়র হিসাবে ফিরহাদ হাকিমের নাম ঘোষণা করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে নির্বাচন না হওয়ায় তিনি প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার পর তিনিই প্রথম কলকাতার মুসলিম মেয়র। ৪৭-এর আগে পাঁচজন মেয়র ছিলেন মুসলিম, যাদের মধ্যে ছিলেন শের-এ-বাংলা এ কে ফজলুল হক। কিন্তু তারপর থেকে কখনো কোনো মুসলিম ধর্মাবলম্বী নেতা কলকাতার মেয়র পদে বসেননি। ফিরহাদ হাকিম ৯০এর দশকের শেষদিকে প্রথমে কলকাতা কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর হয়েছিলেন। ওই সময় থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছাকাছি পাড়ার বাসিন্দা ফিরহাদ হাকিম। কর্পোরেশনের গণ্ডি ছাড়িয়ে গেছেন বিধানসভায়। ভোটে জিতে বিধায়ক হওয়ার পরে হয়েছেন মন্ত্রী।
সূত্র : বিবিসি