এমন আক্রমণ করবো, যা তারা স্বপ্নেও ভাবেনি- নেতানিয়াহু

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ইসরাইল ও ফিলিস্তিন পূর্ণ মাত্রায় যুদ্ধের দিকে ধাবিত হচ্ছে। জাতিসংঘ এমন সতর্কতা দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও পরিস্থিতির দৃশ্যত কোনো উন্নতি হচ্ছে না। সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো, এমন পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষের আঞ্চলিক মিত্রগুলো এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শান্তির যে সমীকরণ কঠিন থেকে কঠিনতরো হয়ে যেতে পারে। ইসরাইল একটি বৃহৎ শক্তি। তাদের হাতে কি পরিমাণ পারমাণবিক অস্ত্র আছে, তা বাইরের বিশ্ব জানে না। তার বিরুদ্ধে হামাস বা অন্য গোষ্ঠীগুলো ঢিলটি মেরে বোমার আঘাত কিভাবে সহ্য করবে সে হিসাবও মেলানো কঠিন। আরো বড় প্রশ্ন হলো ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে পুরোপুরি যুদ্ধ শুরু হয়নি।
সেখানে রকেট হামলার জবাবে আকাশ থেকে বৃষ্টির মতো বোমা ফেলে বেসামরিক, অতি সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে ইসরাইল। যাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রসিকিউটর ফাতু বেনসুদা যুদ্ধাপরাধ বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। ইসরাইলের এমন অসম শক্তি ব্যবহার এবং অকাতরে সাধারণ মানুষ মারার নিন্দা জানানো হচ্ছে বিভিন্ন দেশ থেকে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, বুধবার ভোরে গাজায় যখন মুসলিমরা সেহরি খেয়ে রোজা রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, আবার কেউ কেউ গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন তখন সেখানে বৃষ্টির মতো বোমা ফেলে ইসরাইলি বাহিনী। ইসরাইলে রকেট হামলার জবাবে এমন হামলায় উদ্বিগ্ন জাতিসংঘসহ বিশ্ববিবেক। হামলায় কমপক্ষে ১৩টি শিশুসহ মারা গেছেন কমপক্ষে ৫৩ জন। এর মধ্যে রয়েছেন হামাসের সামরিক শাখার ১৬ সদস্য। একজন হলেন গাজায় হামাসের সামরিক কমান্ডার। ইসরাইলের শিন বেত নিরাপত্তা সার্ভিস বলেছে, গাজা সিটি হামাসের ব্রিগেড কমান্ডার নিহত হয়েছেন। পক্ষান্তরে হামাসের রকেট হামলায় ইসরাইলে নিহত হয়েছে ৬ জন। বুধবারের বিমান হামলার বিষয়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, এটা তো সবে শুরু। হামাস, ফিলিস্তিনিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা তাদেরকে এমনভাবে আক্রমণ করবো, যা তারা কোনোদিন স্বপ্নেও ভাবেনি। তার এমন ঘোষণার পরপরই একটি নতুন রকেট ব্যারাজ এসে পড়ে ইসরাইলের আশদুদ শহরে। কমান্ডারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে হামাস। তারা বলেছে, শহীদ কমান্ডার ও অন্য সেনাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে প্রস্তুত হাজার হাজার সদস্য। ওদিকে ফিলিস্তিনের একটি সূত্র বলেছেন মিশর, কাতার ও জাতিসংঘ অস্ত্র বিরুতির একটি উদ্যোগ নিলেও কোনো অগ্রগতি হয়নি।