যশোরে আলোচিত এস্কেভেটর শ্রমিক মান্নাত খুনের চার্জশিট শিগগির

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ যশোরে আলোচিত এস্কেভেটর শ্রমিক ইসরাফিল হোসেন ওরফে মান্নাত হত্যাকাণ্ডের তদন্ত কাজ শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে শিগগির দাখিল হতে পারে এই মামলার চার্জশিট। রহস্য উদ্ঘাটনসহ হত্যার সাথে জড়িত ৬ জনকে ইতোমধ্যে আটক করেছে সংস্থাটি। তবে অন্যতম অভিযুক্ত শামীমসহ নিহতের স্ত্রী সুমি খাতুন ও তার মা সুফিয়া খাতুন এখনো রয়ে গেছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
ডিবি পুলিশ সূত্র জানায়, শহরের বকচরের বাসিন্দা এস্কেভেটর শ্রমিক মান্নাত তার স্ত্রী সুমি খাতুনের পরকীয়া নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্বে গত ২৩ অক্টোবর কারাবালা এলাকায় খুন হন। মান্নাতের আপন ভগ্নিপতি শহরের পুরাতন কসবা মানিকতলার বাসিন্দা শাহ আলমের সাথে সুমি খাতুনের পরকীয়া ও অনৈতিক সম্পর্ক ছিলো। বিষয়টি জেনে যাওয়ায় এবং স্ত্রীকে ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে ওঠার কারণেই মান্নাতকে খুন করা হয়। ভগ্নিপতি শাহ আলমের পরিকল্পনায় বাড়ি থেকে ডেকে কারবালা এলাকায় এনে তাকে হত্যা করা হয়। প্রথমে অজ্ঞাত হিসেবে তার লাশ উদ্ধার হলেও পরে পরিচয় মেলে। এরপর তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে ডিবি পুলিশ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনসহ জড়িত ৬ জনকে আটক করে। এরা হলেন, নিহতের ভগ্নিপতি শাহ আলম, তার গাড়িচালক সদরের রামনগর গ্রামের ছমেদ আলীর ছেলে আল-আমিন, মাহিদিয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে আল-আমিন ওরফে গ্যারেজ আল-আমিন, সুজলপুরের আব্দুর রশিদ শেখের ছেলে রায়হান শেখ , শফিকুল ইসলাম বাবুর ছেলে নয়ন হোসেন ও শহরের পুরাতন কসবা কাঁঠালতলা এলাকার আবু তাহেরের ছেলে রিফাত। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই মো. শামীম হোসেন জানান, মান্নাত হত্যাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত শামীম এবং নিহতের স্ত্রী মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সুমি খাতুন ও তার মা সুফিয়া খাতুনকে আটক করা যায়নি। তারা আত্মগোপন করে রয়েছেন। তাদেরকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, শামীম আটক শাহ আলমের ভাগ্নে। তিনি পেছন থেকে ইট দিয়ে আঘাত করে মান্নাতকে হত্যা করেছিলেন। তিনি আরো জানান, মান্নাত হত্যার রহস্য উদ্ঘাটিত হয়েছে, তদন্ত কাজও শেষ পর্যায়ে। এ কারণে শিগগির আদালতে চার্জশিট দাখিল করতে পারবেন বলে আশা করছেন।