খেলার খবর

0

বাঁশের ব্যাটে জল ঢেলে দিলো এমসিসি
স্পোর্টস ডেস্ক॥ কাঠের ব্যাটের বদলে বাঁশের ব্যাট- আলোচনা রূপ নিয়েছিল চরম উত্তেজনায়। কারণও ছিল যথেষ্ট। ক্রিকেটের আইন প্রণেতা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিবি) পর্যন্ত গড়িয়েছিল কথাবার্তা। এমসিসি জানিয়েছিল, বাঁশের ব্যাটের বিষয়টি ভেবে দেখবে তারা। তবে সব আলোচনায় জল ঢেলে দিয়েছে তারা। সংস্থাটি জানিয়েছে, বর্তমান আইনে বাঁশের তৈরি ব্যাট ব্যবহারের সুযোগ নেই।এমসিসি আইনের ৫.৩.২ ধারায় বলা আছে, কাঠ ছাড়া অন্য কোনও কিছু দিয়ে তৈরি ব্যাট ব্যবহার করা যাবে না। তাই বাঁশ দিয়ে তৈরি ব্যাট ব্যবহার করতে চাইলে বর্তমান আইন বদলাতে হবে। তাছাড়া বর্তমান আইনে বলা আছে, ব্যাটে কোনও প্রকার প্রলেপ ব্যবহার করা যাবে না, যেটি বাঁশের ব্যাটে ব্যবহার করা হয়েছে। বর্তমানে ব্যাটসম্যানরা কাঠের ব্যাট ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু ক্রিকেটের অনেক নিয়ম ও আইন পাল্টানোর মতো ব্যাটেও পরিবর্তন আসতে পারে বলে ভাবা হচ্ছিল। বিশেষ করে, এমসিসি যখন অপেক্ষায় রেখেছিল ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত বাঁশের ব্যাটের ধারণা। বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষকদের দাবি, বাঁশের ব্যাটে খরচ অনেক কমে যাবে। কাঠের তৈরি ব্যাট কিনতে যতটা খরচ, তার অনেক কম খরচে পাওয়া যাবে তাদের উদ্ভাবিত ব্যাটে।ওই গবেষক দলটির অন্যতম দার্শিল শাহ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানকে জানিয়েছিলেন, বাঁশের ব্যাটে ব্যাটসম্যানরা ইয়র্কার ডেলিভারি আরও ভালোভাবে খেলতে পারবেন এবং একই সঙ্গে অন্যান্য শটেও কার্যকারিতা বেশি পাবেন কাঠের ব্যাটের তুলনায়।কিন্তু তাদের গবেষণার ফসল কাজে এলো না! এমসিসির আইনের বহির্ভূত হওয়ায় বাঁশের ব্যাট স্বীকৃতি পাচ্ছে না। ক্রিকেটের আইন প্রণয়ন সংস্থা জানিয়ে দিলো, বাঁশের ব্যাট ব্যবহার করা যাবে না।

লাহোর নয়, সাকিব বেছে নিলেন মোহামেডান
স্পোর্টস ডেস্ক॥ করোনাভাইরাসের কারণে স্থগিত হওয়া পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) ফের শুরু হচ্ছে জুনের প্রথম সপ্তাহে। টুর্নামেন্টের এই অংশে সুযোগ পেয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। কিন্তু তিনি পিএসএলে খেলছেন না, মোহামেডানের হয়ে প্রিমিয়ার লিগ খেলতে আগ্রহী সাকিব। মঙ্গলবার মোহামেডানের ক্লাব কর্মকর্তাদের মাধ্যমে নিজের এই ইচ্ছার কথা বিসিবিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন সাকিব। বন্ধ হওয়া পিএসএলের বাকি অংশে সুযোগ পেয়েছেন বাংলাদেশি তিন ক্রিকেটার- সাকিব লাহোর কালান্দার্স, মাহমুদউল্লাহ মুলতান সুলতান ও লিটন দাস করাচি কিংসে। এদিকে ৩১ মে থেকে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ মাঠে গড়ানোর কথা। সাকিবের পাশাপাশি মাহমুদউল্লাহ ও লিটনেরও পিএসএলে খেলার সম্ভাবনা কম। সাকিব মোহামেডানের হয়ে প্রিমিয়ার লিগ খেলতে আগ্রহী- এ সংক্রান্ত একটি চিঠি কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের (সিসিডিএম) বরাবর জমা দিয়েছে বিসিবি। মোহামেডানের কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘সাকিবের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি আমরা সিসিডিএমের বরাবর জমা দিয়েছি। সাকিব আমাদের বলেছে, সে পিসিএল খেলবে না, আমাদের দলের হয়ে প্রিমিয়ার লিগ খেলবে। নিষেধাজ্ঞার কারণে ২০১৯-২০ ডিপিএলে অংশ নেননি এবং এবার তিনি অংশ নেবেন। আমরা তাকে আমাদের দলে নিতে আগ্রহী। আশা করি, বিসিবির পক্ষ থেকে আমরা দ্রুত রেসপন্স পাবো।’ পিএসএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটের প্লাটিনাম ক্যাটাগরি থেকে সাকিবকে নিয়েছিল লাহোর। এর আগে পেশাওয়ার ও করাচির হয়ে পাকিস্তানের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা আছে বাঁহাতি অলরাউন্ডারের। সিলভার ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের তাসকিন, সাব্বির ও লিটনকে রাখা হলেও কেবল সুযোগ পান লিটন। প্রথমবারের মতো তিনি সুযোগ পেয়েছিলেন করাচি কিংসে। অন্যদিকে মাহমুদউল্লাহ এবার সুযোগ পেয়েছেন মুলতান সুলতানের হয়ে মাঠ মাতানোর। সাকিব ইতিমধ্যে জানিয়ে দিলেও লিটন ও মাহমুদউল্লাহ প্রিমিয়ার লিগ খেলবেন কিনা, সে ব্যাপারে কিছু জানাননি। গত বছর স্থগিত হওয়া লিগটিতে লিটন আবাহনীর হয়ে এবং মাহমুদউল্লাহ গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের হয়ে প্রথম রাউন্ডে অংশ নিয়েছিলেন। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের প্রিমিয়ার লিগ যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হলে, নিশ্চিত ভাবেই ক্লাবগুলো লিটন-মাহমুদউল্লাহকে ছাড়তে চাইবে না! গত বছরের মার্চে প্রথম রাউন্ড শেষেই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এবার ৫০ ওভারের বদলে কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে লিগটি মাঠে গড়াতে যাচ্ছে। মূলত ব্যস্ত সূচি ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির সহায়ক হিসেবে লিগ হচ্ছে কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে।