চান্দুটিয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনায় ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ যশোর সদর উপজেলার চান্দুটিয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রী খুশিকে (১৩) আত্মহত্যা প্ররোচনায় ৩ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। রোববার দুপুরে ওই ছাত্রীর পিতা ইকরাম হোসেন বাদী হয়ে এই অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত ৩ জন হলেন আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারী চান্দুটিয়া গ্রামের রকি হোসেন তার পিতা রফিকুল ইসলাম ও বড় ভাই সুজন হোসেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, ইকরামের মেয়ে চান্দুটিয়া এমআই দাখিল মাদ্রাসা ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ছিলো। রকি তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়াসহ নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতো। প্রস্তাবে রাজি না হলে খুন জখমের হুমকি দেয়া হয় খুশিকে। বিষয়টি রকির পিতা ও বড়ভাইকে জানালেও শাসন না করে রকিকে উৎসাহ দেয়। ইকরাম অভিযোগে আরো বলেছেন, দীর্ঘদিন উত্ত্যক্ত করার পর বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরী খুশিকে প্রেমের জালে ফাসায় রকি। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে পরে অস্বীকার করায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে কিশোরী খুশি। বিভিন্ন সময় রকি তাকে আত্মহত্যা করতেও বলে। এক পর্যায়ে গত ২ মে দিবাগত রাতে নিজ ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে খুশি। মৃত্যুর আগে সে নিজের খাতায় রকি ও তার ভালোবাসা নিয়ে বিভিন্ন কথাবার্তা লিখে যায়। খবর পেয়ে সাজিয়ালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই সুকুমার তার মৃতদেহ উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। সেখানে ময়নাতদন্ত শেষে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়। লিখিত অভিযোগে বলা হয়, বর্তমানে ঘটনাটি ভিন্নখাতে নিতে বাদী পক্ষ মরিয়া হয়ে উঠেছে। বখাটে রকি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সে ও তার পিতা ও বড় ভাই বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করাসহ নানা ধরণের হুমকি দেয়া হচ্ছে। এক প্রশ্নে ইকরাম হোসেন জানান, ঘটনার দিন সকালে রকির বিষয়টি আমরা জানতাম না। যে কারণে আমার বড় ভাই বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করে। তার পরে আত্মহত্যার প্ররোচনায় বিষয়টি জানাজানি হয়। খুশির হাতে রকির নামও লেখা ছিলো। ওই সময় লাশের সুরতহাল প্রস্তুতকারী সাজিয়ালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই সুকুমার কুন্ডুকে বিষয়টি জানানো হয়। তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন ঘটনার তদন্তপূর্বক রকিকে মামলায় আসামি করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত অজ্ঞাত কারণে করা হয়নি। যে কারণে তিনি আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন। যশোর কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, অভিযোগের তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।