১০ করোনা রোগীর পলায়ন : জামিন নিয়ে বাড়ি ফিরলেন ৭

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়া ১০ করোনা রোগীর সাতজন আদালত থেকে জামিন নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়ার পর সোমবার (১০ মে) সকালে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। দুপুরে শুনানি শেষে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহাদী হাসান তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। জামিন পাওয়া সাতজন হলেন- সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপপাড়া গ্রামের জালাল হোসেনের ছেলে মিলন হোসেন (৩২), যশোর সদর উপজেলার পশ্চিম বারান্দিপাড়া এলাকার বিশ্বনাথ দত্তের স্ত্রী মনিমালা দত্ত (৪৯), রাজবাড়ী সদরের রামকান্তপুর গ্রামের গোলাম রব্বানীর স্ত্রী নাসিমা আক্তার (৫০), খুলনার পাইকগাছা উপজেলার ডামরাইল গ্রামের আহম্মদ সানার ছেলে আমিরুল সানা (৫২), খুলনা শহরের নতুন বাজার খ্রিস্টান গলির শের আলীর ছেলে সোহেল সরদার (১৭), খুলনা শহরের বিকে মেইন রোড এলাকার পুলিন কৃষ্ণ সরকারের ছেলে বিবেকানন্দ সরকার (৫২) ও যশোর সদরের পাঁচবাড়িয়া এলাকার রবিউল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা (১৯)। এর মধ্যে ফাতেমা ছাড়া সবাই ভারতফেরত। এছাড়া গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার সোনাতলা দক্ষিণ শ্রীপুরের মনোতাষ সরদারের স্ত্রী শেফালি রাণী সরদার (৪০), যশোর সদরের পাঁচবাড়িয়া এলাকার একরামুল কবীরের স্ত্রী রুমা (৩০) ও শহরের ওয়াপদা গ্যারেজ এলাকার মৃত ভদ্র বিশ্বাসের ছেলে প্রদীপ বিশ্বাসের (৩৭) নামে। এদের মধ্যে রুমা ও প্রদীপ স্থানীয় রোগী। হাসপাতাল সূত্র জানায়, ২৩ ও ২৪ এপ্রিল ভারত থেকে ফিরে আসা সাত করোনা রোগী ও স্থানীয় তিন করোনা রোগী যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের রেডজোন থেকে পালিয়ে যায়। রেড জোন থেকে দশ করোনা রোগী পালিয়ে যাওয়ার খবর জানাজানি হলে এ নিয়ে সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ২৬ এপ্রিল পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় এদের বাড়ি থেকে ‘ধরে এনে’ ফের যশোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশ এই ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ওই ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, আদালতের পরোয়ানা থাকায় সোমবার সাতজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। দুবারের পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ আসায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র দেয়ার পর তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকি তিনজনকেও হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়া সাপেক্ষে আদালতে সোপর্দ করা হবে। আদালত সূত্র জানায়, সংক্রমণ বিধি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়া ও নির্দেশ পালনে অসম্মতি জ্ঞাপন করায় আদালত তাদেরকে অনূর্ধ্ব তিন মাসের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করতে পারেন।