ধর্ষণে বাধা দেয়ায় কেশবপুরের এক গৃহবধূ গুরুতর আহত

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ ধর্ষণে বাধা দেয়ায় কেশবপুরের এক গৃহবধূ (২০) গুরুতর আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। ওই গৃহবধূ যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সোহরাব ফকির (৩৫) নামে একজন কাঠমিস্ত্রির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন ওই গৃহবধূ। তবে পুলিশ বলছে, পরপুরুষের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে তার স্বামী পিঁড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করায় তিনি আহত হন। ঘটনাটি শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে যশোরের কেশবপুর উপজেলার বাইসা গ্রামে ঘটে।অভিযুক্ত সোহরাব ফকির একই গ্রামের জামাল ফকিরের ছেলে।
চিকিৎসাধীন গৃহবধূর অভিযোগ, রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি প্রাকৃতিক কর্ম সারতে ঘরের বাইরে যান। ওইসময় প্রতিবেশী সোহরাব তার মুখে চেপে ধরে পাশের বাঁশবাগানে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। বাধা দিলে তাকে এ্লোপাতাড়ি মারধর এবং হাতে থাকা টর্চলাইট দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কেশবপুর স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার অসীম দাশ বলেন, দুপুর ২টার দিকে সেক্সচ্যুয়াল অ্যাসাল্ট হিসাবে ২০ বছর বয়সী এক গৃহবধূকে ভর্তি করে ( টিকিট নম্বর- ১৯১২১/৭১) গাইনি ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। তিনি শঙ্কামুক্ত নন। জানতে চাইলে কেশবপুর থানার ওসি বোরহান উদ্দিন বলেন, ৫ মে রাতে ওই গৃহবধূ বাড়ির পাশে অন্য এক পুরুষের সাথে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল। ঘটনাটি গৃহবধূর জা দেখে তার স্বামীকে জানান। এরপর ওই গৃহবধূর স্বামী পিঁড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।