জলদি ঘুমানোর তিন পদ্ধতি

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ আমরা বোধহয় সবচেয়ে বেশি যে উপদেশটা শুনে আসছি সেটা হলো- ঘুমাতে হবে জলদি। নিয়ম করে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমালে কী কী উপকার মিলবে সেটা শুনে শুনেও কান ঝালাপালা। কিন্তু বিছানায় শোয়ার পর এপাশ ওপাশ করে যাদের ঘণ্টা পার হয়ে যায় তার কাছে এসব উপদেশ যেন উটকো যন্ত্রণা। তবে চিন্তা নেই। বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন কিছু ঘুমমন্ত্র!
মিলিটারি মেথড
যেমন নাম তেমন কাজও হয়। পদ্ধতিটা বের করেছেন মার্কিন নেভির প্রি-ফ্লাইট স্কুলের বিশেষজ্ঞরা। এ কারণেই এমন নাম। উড়োজাহাজ বা জেটবিমান চালানোর আগে পাইলটদের সুনিদ্রা জরুরি। এজন্য তাদের ঘটা করে ঘুমের ট্রেনিং দেওয়া হয়! সেটা কীভাবে? শোয়ার পর প্রথমে মনযোগ দিতে হবে নিজের মুখের মাংসপেশীগুলোর ওপর। কোনওটা টানটান বা চেপে আছে কিনা সেটা দেখুন। তারপর ধীরেসুস্থে পেশীগুলো শিথিল করুন। মুখ, চোয়াল ও গলার পেশীও ছেড়ে দিন। হাল ছেড়ে দেওয়ার মতো দুই হাতও যেন আলগোছে পড়ে থাকে। একইভাবে বুক, থাই, পা ও গোড়ালিও শিথিল করুন যেন মনে হয় নিজের শরীরের ওপর আপনার আর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। এরপর কোনও কিছু না ভেবে কেবল একটি মনরোম দৃশ্যপট কল্পনায় দেখতে থাকুন। এটা নিয়মিত চর্চা করলে ঘুম আসবে ১২০ সেকেন্ডের মধ্যেই।
বিজ্ঞাপন
৪-৭-৮ পদ্ধতি
শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে যাদের কোনও সমস্যা নেই তারা এ পদ্ধতি চর্চা করতে পারেন। এতে ঘুম তো আসবেই, আবার ফুসফুসও ভালো থাকবে। প্রথমে ভেতরের বাতাস সব ধীরে ধীরে বের করে দিন। এরপর মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে ৪ সেকেন্ড শ্বাস নিন। শ্বাস ধরে রাখুন ৭ সেকেন্ড। এরপর মুখ দিয়ে ৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। প্রথম দিকে প্রয়োজনে ঘড়ির কাঁটায় চোখ রেখে চর্চা করুন। পরে সময়জ্ঞান হয়ে গেলে সেকেন্ড গোনার পেছনে অতোটা সতর্ক না হলেও চলবে। কারণ বেশি সতর্কতার কারণে সেকেন্ড মাপতে গিয়ে দেখা যাবে ঘুমও চলে যাচ্ছে।
পিএমআর মেথড
পুরো নাম হলো প্রগ্রেসিভ মাসল রিলাক্সেশন। এ পদ্ধতিতে শরীরের কোনও একটি পেশীকে প্রথমে টান টান করা হয়। এরপর সেটাকে হুট করে আবার ছেড়ে দেওয়া হয়। যেমন প্রথমে ঝাড়া ৫ সেকেন্ড চোখ টান টান করে তাকান। এতে কপাল ও ভুরুতে চাপ পড়বে। ৫ সেকেন্ড পর ধপ করে ছেড়ে দিন। একইভাবে জোর করে মুখ চওড়া করে হাসার ভঙ্গি করুন (ছবি তোলার সময় যেভাবে ‘চিজ’ বলি)। ৫ সেকেন্ড পর ছেড়ে দিন। এভাবে আরও কিছু পেশীকে টান টান করে ধরে ছেড়ে দিন। এতেও এক ধরনের রিলাক্সেশন ভর করবে শরীর-মন জুড়ে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া