খুলনায় ঈদের প্রথম জামাত ৮টায়, অনুষ্ঠিত হবে টাউন হল মসজিদে

0

খুলনা সংবাদদাতা॥ সারা দেশের ন্যায় খুলনাতেও ঈদুল-ফিতরের জামাত ঈদগাহের পরিবর্তে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে মসজিদে জামাত অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত নির্দেশনাবলি কঠোরভাবে প্রতিপালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। খুলনার স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক মো. ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার (৬ মে) দুপুরে জুম অ্যাপের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতিমূলক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় জানানো হয়, খুলনায় ঈদুল-ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে টাউন হল মসজিদে। সেখানে সকাল আটটা, নয়টা এবং ১০টায় পৃথক তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। খুলনার অন্যান্য মসজিদগুলোতেও মসজিদ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক পৃথক পৃথক সময়ে একাধিক জামাত অনুষ্ঠানের নির্দেশনা দেওয়া হয়। সভাপতির বক্তৃতায় মো. ইকবাল হোসেন বলেন, করোনা মহামারির কারণে সরকার ঈদগাহের পরিবর্তে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঈদের ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদুল-ফিতর উদযাপনের ক্ষেত্রে ইমামদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। জুমার দিনগুলোতে খুদবার সময় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা সঠিকভাবে মুসল্লিদের কাছে তুলে ধরার জন্য তিনি ইমামদেরকে অনুরোধ করেন। এবছর ঈদুল-ফিতর উদযাপনে গত ২৬ এপ্রিল ধর্ম মন্ত্রণালয় ১২ দফা নির্দেশনা জারি করে। যার মধ্যে রয়েছে ঈদগাহের পরিবর্তে মসজিদে জামাত অনুষ্ঠান করা, মসজিদে কর্পোট বিছানো যাবে না, নামাজের আগে মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। মসজিদে প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে, নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে আসতে হবে। আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। শিশু, বয়োবৃদ্ধ ও অসুস্থ ব্যক্তি ঈদের জামাতে অংশ নিতে পারবেন না। জামাত শেষে কোলাকুলি ও হাত মেলানো পরিহার করতে হবে। সর্বোপরি ঈদুল-ফিতরের নামাজ শেষে করোনা মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মহান রাব্বুল আল-আমিনের দরবারে প্রার্থনা করতে হবে। মসজিদের খতিব, ইমাম ও মসজিদ পরিচালনা কমিটিকে এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। প্রস্তুতিমূলক সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. সাদিকুর রহমান খান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক শাহীন বিন জামান, ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজমল আহমেদ তপন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলমগীর কবির প্রমুখ।