মানবিক কারণে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে সরকার

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আশা ভরসার স্থল খালেদা জিয়াকে দেশবাসী সুস্থ দেখতে চায়। আমরা সরকারের কাছে আবেদন করেছি। আশা করি মানবিক কারণে সরকার তার বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ করে দেবে। বৃহস্পতিবার (৬ মে) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সারাদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিহত বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের পরিবারের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা সবাই জানেন গত ২৭ এপ্রিল থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। সেখানে তাকে সর্ব ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের চিকিৎসকেরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে তার চিকিৎসা করছেন। তার করোনা পরবর্তী যে জটিলতা সেটা মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন দিকে টার্ন নেয়। ওনার যে বয়স, আগেও অসুস্থ ছিলেন, এর আগে প্রায় তিন বছর তিনি কারাগারে ছিলেন, এখনও অন্তরীণ আছেন। এ অবস্থায় দেশের বেশিভাগ মানুষের একটা আকাঙ্ক্ষা তার চিকিৎসাটা উন্নত কোনো হাসপাতালে হোক। উন্নত বলতে বাংলাদেশে যে উন্নত হাসপাতাল সেখানেই তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। আরও উন্নত বিদেশে কোনো হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব কিনা। তিনি বলেন, আপনারা বুধবার দেখেছেন যে এ বিষয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য যে অনুমতি দরকার, সে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। আমরা আশা করি সরকার মানবিক কারণে তার বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন। এই দেশের ১৮কোটি মানুষের সবচেয়ে প্রিয় নেতার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন। বিএনপির মহাসচিব বলেন, এটাতো অবশ্যই আমাদের দেশের মানুষের অধিকার, তারা তাদের নেতাকে সুস্থ দেখতে চায়। আজকে বিভিন্নভাবে আমাদের প্রায় ৩৫ লাখ কর্মীকে মামলার আসামি করা হয়েছে। আমাদের ৫’শ এর অধিক নেতাকর্মী গুম হয়েছে। সহস্রাধিক নেতাকর্মী খুন হয়েছে। এই যে নির্যাতন চলছে বিগত একযুগ ধরে। এর মধ্যেই আমরা আমাদের এই নেত্রীর নেতৃত্বে সংগ্রাম করছি। নিশ্চয়ই একদিন আমরা জয়ী হবো। বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। আরও উপস্থিত ছিলেন হাবিব উন নবী খান সোহেল, মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, যুব দলের এসএম জাহাঙ্গীর, ছাত্র দলের ফজলুর রহমান খোকন, স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীর উদযাপন উপকমিটির নেতা আতিকুর রহমান রুমন, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস প্রমুখ।