করোনা রোগী পালিয়ে যাবার ঘটনায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দোষ পাওয়া যায়নি

0

বিএম আসাদ ॥ যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড থেকে ভারত ফেরত রোগী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় গঠিত তদন্ত বোর্ড আংশিক রিপোর্ট জমা দিয়েছেন এবং পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেয়ার জন্যে সময় চেয়েছেন। এদিকে, যশোরে নতুন করে আরও ১০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
সূত্র জানিয়েছেন, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে তদন্ত বোর্ডের সদস্যগণ ৫দিন তদন্ত করে হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়কের কাছে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেন। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, রোগী পালানোর ঘটনায় কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীর তেমন দোষ পাওয়া যায়নি। কেউ ওষুধ ক্রয় করার কথা বলে ওয়ার্ড থেকে বাইরে যাওয়ার পর ফিরে আসেননি। আবার কেউ ভর্তি হওয়ার পর ওয়ার্ডে আসেনি। তারা ফিরে গেছেন। এমনটিই তদন্তে উঠে এসেছে। গত ২৩ এপ্রিল ৭ জন ভারত ফেরত রোগী ভর্তি হওয়ার পর চলে যান। ১৮ এপ্রিল থেকে ৩ জন রোগী চলে যান। এ ৩ জন দেশের ভেতর আক্রান্ত হয়েছিলেন। সব মিলে ১০ জন চলে যান। তাদের ছাড়পত্র খাতায় পলাতক হিসেবে দেখানো হয়। এ নিয়ে লোকসমাজে সংবাদ প্রকাশিত হলে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি তাদের উদ্ধারের উদ্যোগ নেন। এরপর শুরু হয় পুলিশের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। এক পর্যায়ে দ্রুত সময়ের ভেতর ৪ জেলা থেকে পলাতক রোগীদের উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায় রোগী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ২৭ এপ্রিল ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত বোর্ড গঠন করেন।
গতকাল হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়কের কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি কিছুই বলেননি। এ ব্যাপারে তদন্ত বোর্ডের প্রধান ডা. হিমাদ্রি শেখর সরকারের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেয়া অনেক সময়ের ব্যাপার। কারণ, করোনা ওয়ার্ডে গিয়ে রোগীদের সাথে কথা বলা যাচ্ছে না। এটা ভয়ের ব্যাপার, সুস্থ হলে তাদের সাথে কথা বলতে হবে। তাতে সময় লাগবে, তাই তত্ত্বাবধয়কের কাছে সময় চাওয়া হয়েছে।
এদিকে, গতকাল নতুন করে যশোরে আরো ১১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সেন্টার থেকে ৫৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষিত ওই রিপোর্টে ১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ জন। ফলে, একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরো ১১ জন। এ নিয়ে যশোর জেলায় সর্বমোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৪শ ২৬ জন। আক্রান্তদের ভেতর ৫ হাজার ৭শ ১ জন সুস্থ হয়েছেন জানিয়ে সিভিল সার্জন অফিসের এমওসিএস ডা. রেহেনেওয়াজ বলেন, আক্রান্তদের মধ্যে ৩৪ জন হাসপাতালে রয়েছেন। আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬শ ৬ জন। করোনা সন্দেহে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে অবস্থান করছেন ৪ হাজার ৭শ ৬০ জন। ২৪ ঘন্টায় কোয়ারেন্টাইনে অবস্থানকারীর সংখ্যা ১শ ৯০ জন।