রাজনীতিতে ফিরলেন জামায়াতের সাবেক নেতা ব্যারিস্টার রাজ্জাক

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ২০২০ সালে গঠিত আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে জামায়াতের সাবেক নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক আবারও রাজনীতিতে ফিরেছেন। তিনি এই দলে যোগ দিলেও একবছর পর তা ঘোষণা দেয়া হয়। রোববার (২ মে) এবি পার্টির প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে তার যোগদানের বিষয়টি জানানো হয়। এর আগে তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে পদত্যাগ করেছিলেন। প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক ভার্চুয়াল মিডিয়া ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। দলের আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী ও সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মন্জুসহ কেন্দ্রীয় নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
করোনা সংক্রমণের কারণে অনুষ্ঠানে এবি পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানিয়ে রেকর্ডেড ভার্চুয়াল বক্তব্য দেন- গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক, অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া, সাবেক ডাকসু ভিপি ও নাগরিক ঐক্যের প্রধান মাহমুদুর রহমান মান্না, রাষ্ট্র বিজ্ঞানী ড. দিলারা চৌধুরী, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, সাবেক এমপি নিলুফার চৌধুরী মনি, সাবেক উপমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার মিলন, লেখক ও কলামিস্ট শ্রী গৌতম দাস, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব মাওলানা ড. মো. নজরুল ইসলাম আল মারুফ, বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু ও শিক্ষাবিদ ড. সুকোমল বড়ুয়া প্রমুখ। লন্ডন থেকে যুক্ত হয়ে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের যে প্রতিশ্রুতি স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে দেয়া হয়েছে, জনগণের জন্য তা নিশ্চিত করার অঙ্গীকারের মাধ্যমে এবি পার্টির যাত্রা শুরু। বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্ম ইসলামে এই তিনটি অধিকারের সম্পূর্ণ নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে।’
এ সময় বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, আমার বাংলাদেশ পার্টির এক বছর পূর্তি এটা আমাদের দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার। বিগত পঞ্চাশ বছরে যে রাজনীতির ধারা দেখা গেছে, এতে জনগণ অনেকটা আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। এই নতুন পার্টির আগমনে একটি ঘাটতি পূরণ হবে। এই সরকারের অধীনে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির অবক্ষয় হয়েছে। উদার ও গণতান্ত্রিক একটা কালচার বাংলাদেশে ফেরত আনতে হবে। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমি এবি পার্টির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর খবর শুনে আনন্দিত। এবি পার্টি গত এক বছর লাগাতার কাজ করেছে। দেশের আপামর মানুষের জন্য, গণতন্ত্র, তাদের মৌলিক অধিকার এক কথায় মানুষের কল্যাণের স্বপক্ষে তারা লড়াই করেছে। শুভেচ্ছা বক্তব্যে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীরপ্রতীক বলেন, এবি পার্টি করোনার সময় জন্ম নিয়েছে সাহস করে; এবি পার্টি নতুন দল হলেও নেতৃত্ব ও ব্যক্তিগুলো নতুন নয়, তারা প্রবীণ ও অভিজ্ঞ। আমি এবি পার্টির কাছে আবেদন করবো তরুণদের ধরে রাখুন, তাদেরকে রাজপথে আনুন, কারণ তারাই আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। সাবেক সংসদ সদস্য নিলুফার চৌধুরী মনি বলেন, আশা করি এবি পার্টি বাংলাদেশের নির্যাতিত মানুষের পাশে, গণতন্ত্রের পাশে, নারী জাগরণের পাশে হাজার বছর ধরে থাকুক। আমি এবি পার্টির তরুণ নেতৃত্বের মাঝে যে স্ফুলিঙ্গ দেখেছি, সে স্ফুলিঙ্গ বাংলাদেশকে অনেক দূর নিয়ে যেতে পারে। এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মনজুর সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, সহকারী সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, ব্যারিস্টার যুবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া, বিএম নাজমুল হক প্রমুখ। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২ মে রাজধানীর বিজয় নগরের দলীয় কার্যালয় থেকে যাত্রা শুরু করে এবি পার্টি।