আন্তর্জাতিক সংবাদ

0

পশ্চিমবঙ্গে হারের কারণ খুঁজছেন অমিত শাহ
লোকসমাজ ডেস্ক॥ পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটে বিজেপির বিপর্যয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে দলীয় কর্মীদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতা তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রবিবার দুপুরে এ কথা জানিয়েছেন রাজ্যটির বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। মূলত ভোট গণনাপর্বের মধ্যেই কৈলাস মেনে নিয়েছেন বিধানসভা ভোটে বিজেপির ভরাডুবি হয়েছে। পাশাপাশি, টালিগঞ্জে বাবুল সুপ্রিয় এবং চুঁচুড়ায় লকেট চট্টোপাধ্যায়ের পিছিয়ে থাকার ঘটনাকে ‘আশ্চর্যজনক’ বলেন কৈলাস। তিনি জানান, ভোটের পূর্ণাঙ্গ ফল মেলার পর বিজেপি নেতৃত্বের প থেকে পর্যালোচনা করা হবে। বিধানসভা ভোটের প্রচারপর্বে রাজ্যে এসে একাধিকবার ২০০ আসনে জেতার দাবি করেন বিজেপির সাবেক সভাপতি অমিত। কিন্তু ভোটগণনার গতিপ্রকৃতির ইঙ্গিত, ১০০ আসনেও জিততে পারবে না পদ্ম-শিবির। যদিও ৩ বছর আগে লোকসভা ভোটে অনেকটাই হিসেব মিলিয়েছিলেন শাহ। সেবার রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনের অর্ধেক আসনে জেতার দাবি করেছিলেন তিনি। বিজেপি জিতেছিল ১৮টিতে। ভারতে এই দফা বিধানসভা নির্বাচনে পাঁচটি রাজ্যে নির্বাচন হলেও প্রায় সবার নজর ছিল পশ্চিমবঙ্গে। বুথ ফেরত জরিপের মতো রবিবার শুরুর ভোট গণনায়ও ছিল তৃণমূল ও বিজেপির হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত। তবে ভোটের গণনা বাড়তেই বিজেপির সঙ্গে ব্যবধান বাড়াচ্ছে মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল। এনডিটিভির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২৯২ আসনের মধ্যে ২০৫টিতে এগিয়ে আছে তৃণমূল। ২৯৪ আসনের বিধানসভায় জয়ের জন্যও দরকার ১৪৮টি আসন। বিজেপি এগিয়ে আছে ৮৪ আসনে।

কারফিউর বিরুদ্ধে কানাডায় ৩০ হাজার লোকের বিক্ষোভ
লোকসমাজ ডেস্ক॥ কানাডায় করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ধাপের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের নেওয়া নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে শনিবার মন্ট্রিলের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে হাজার হাজার লোক সমাবেশ করেছে।
সমাবেশের শুরুতেই কিছু বিােভকারীকে পুলিশ আটক করে। সমাবেশে মাস্ক, কারফিউ ও হেলথ পাসপোর্টের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় বিােভকারীরা। সমাবেশ উৎসবমুখর থাকলেও সেখানে প্রচুর সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি ল্য করা গেছে। সমাবেশে ঠিক কত সংখ্যক লোক অংশ নিয়েছে সে সম্পর্কে পুলিশ কিছু না বললেও দেশটির সংবাদমাধ্যম বলছে এ সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। কুইবেকে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত যে কোন সমাবেশের চেয়ে এটি বড় ছিল। বিােভকারীদের অধিকাংশেরই মুখে মাস্ক ছিল না। সামাজিক দূরত্ব মানারও কোন লণ ছিল না। তারা করোনা প্রতিরোধে সরকারের নেওয়া নিষেধাজ্ঞাকে অন্যায্য বলে দাবি করে। তারা মাস্ক পরা বাধ্যতামূলকের সমালোচনা ও জানুয়ারি থেকে জারি থাকা কারফিউর বিরুদ্ধেও কথা বলে। সমাবেশের আয়োজকেরা করোনা প্রতিরোধে নেওয়া স্বাস্থ্য পদপেসমূহ বাতিলের দাবি জানায়।
এদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এই সমাবেশকে ‘খুবই হতাশাজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন। উল্লেখ্য, কানাডায় ১২ লাখেরও বেশি লোক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ২৪ হাজার ২শ জন। এর অর্ধেকেরও বেশি মারা গেছে অন্টারিও ও কুইবেকে।

আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার শুরু
লোকসমাজ ডেস্ক॥ আফগানিস্তান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোট। খবর বিবিসি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এর মাধ্যমে একটি অন্তহীন যুদ্ধ শেষ হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলো। ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানে উপস্থিতি যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোটের সেনাবাহিনীর। ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেনা ফিরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলবে। গত বছর সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তালিবানদের এক চুক্তি অনুযায়ী, এ বছর মে মাসের এক তারিখের মধ্যে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাওয়ার কথা।
চুক্তি অনুযায়ী আন্তর্জাতিক সেনাদের ওপরে হামলা বন্ধ রাখতে হবে তালিবান বাহিনীকে। তবে বাইডেন গত মাসে এই সময়সীমা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার মতে সেপ্টেম্বরের ১১ তারিখ পর্যন্ত আফগানিস্তানে সেনা উপস্থিতি থাকা প্রয়োজন। সেনা প্রত্যাহার যুক্তিসংগত উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, পশ্চিমের দেশগুলোতে হামলা চালানোর ষড়যন্ত্রের করার জন্য জিহাদি গোষ্ঠীগুলো আফগানিস্তানকে যাতে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে মার্কিন বাহিনী তা নিশ্চিত করেছে। চলতি বছর নাইন ইলেভেন হামলার ২০ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। সেটিকে ঘিরে কোন ধরনের নিরাপত্তাজনিত হুমকির কথা মাথায় রেখে সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন করার তারিখ বর্ধিত করা হয়। তবে সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের সময়ে কোন ধরনের আক্রমণের ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন জেনারেল স্কট মিলার। তিনি বলেছেন, “ভুলে যাবেন না, যে কোন ধরনের আক্রমণের জবাব দেওয়ার, আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর ওপরে আক্রমণে তাদের সহায়তায় সামরিক সমতা জোটের রয়েছে।” চুক্তি সত্ত্বেও তারিখ পিছিয়ে দেওয়া সম্পর্কে তালিবানদের একজন মুখপাত্র বলেছেন, “চুক্তির লঙ্ঘন দখলদার বাহিনীর (পশ্চিমা সেনা) ওপর তালিবান যোদ্ধাদের যেকোনো ধরনের পাল্টা ব্যবস্থা নেবার নীতিগত সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে।”
এ দিকে নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সেনা প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময়সীমা বড় ধরনের হামলা এড়ানোর েেত্র ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে প্রায় তিন হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। এই হামলার জন্য ইসলামপন্থী সশস্ত্র দল আল কায়দার প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে দায়ী করা হয়। ওই সময় আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণে থাকা তালিবান ওসামা বিন লাদেনকে নিরাপত্তা দিয়েছিল এবং তাকে মার্কিন বাহিনীর হাতে হস্তান্তর করতে প্রত্যাখ্যান করে। নাইন ইলেভেন হামলার এক মাস পর আফগানিস্তানে বিমান হামলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন মিত্র দেশগুলো এত যোগ দেয় এবং দ্রুতই তালিবানদের মতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তখন থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর জোট ন্যাটোর সেনাবাহিনী আফগানিস্তানে অবস্থান করছে। কিন্তু তাতে তালিবান শক্তি অদৃশ্য হয়ে যায়নি বা তাদের শক্তি নিঃশেষ হয়ে যায়নি। এ দিকে আফগানিস্তানের গাজনি প্রদেশে শনিবারও রাতভর সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার পুল-এ-আলম শহরে এক গাড়ি বোমা হামলায় ৩০ জন নিহত হয়েছে এবং ১১০ জন আহত হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই স্কুল শিার্থী।